২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

হয় স্বাক্ষর দেন , নইলে থানায় চলেন: চায়ের দোকানে বসে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলেন যুবদল সভাপতি!

মানাফি ইসলাম নাজমুল, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
হয় স্বাক্ষর দেন, নইলে থানায় চলেন এমন হুমকি দিয়ে চায়ের দোকানে বসে জোরপুর্বক আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধার কাছ থেকে চেয়াম্যানের দায়িত্ব পত্রে স্বাক্ষর নিলেন জাতীয়তাবাদী ইউনিয়ন যুবদল আহবায়ক ইউপি সদস্য ফিরোজ খাঁন (তাপস)। এমন অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা। বৃহস্পতিবার দুুপরে আমতলী উপজেলা পরিষদ সড়কের সামনে শ্যামলের চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানাগেছে, আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা গত বছর ২১ আগস্ট দায়িত্ব পান। ওই সময় থেকে তিনি ভালোভাবেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ১৬ জুন থেকে চেয়ারম্যান মিঠু মৃধাকে পরিষদে যেতে দেন না আমতলী সদর ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী যুবদল আহবায়ক ফিরোজ খাঁন (তাপস)। তিনি চেয়ারম্যানকে অফিস আসতে বারন করে দেন।

অফিসে আসলে তাকে মারধর ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পুলিশে দেয়ার হুমকি দেন তিনি (তাপস)। গত তিন দিন যাবৎ তিনি চেয়ারম্যান) যুবদল আহবায়ক ইউপি সদস্য তাপস খানের ভয়ে অফিসে যেতে পারছেন না এমন অভিযোগ চেয়ারম্যান মিঠুর। বৃহস্পতিবার দুপুরে চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু আমতলী উপজেলা পরিষদ সড়কের সামনে শ্যামলের চায়ের দোকানে বসা ছিলেন।

ওই সময় যুবদল আহবায়ক ইউপি সদস্য তাপন খাঁন, আরো দুই ইউপি সদস্য মাসুদ ও জসিমসহ যুবদল নেতাকর্মী নিয়ে চেয়ারম্যানকে চায়ের দোকানে আটকে রাখেন। পরে তাকে চিঠিতে স্বাক্ষর দিতে বলেন। চেয়ারম্যান স্বাক্ষর দিতে রাজি হয়নি। পরে যুবদল আহবায়ক বলেন, হয় স্বাক্ষর দেন, নইলে থানায় চলেন। পরে যুবদল আহবায়ক তাপন খানের লেখা একটি পত্রে জোরপুর্বক চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর রেখে দেন।

দায়িত্ব পত্রে স্বাক্ষর রেখে দেয়ার পরে তারা চেয়ারম্যানকে অনাত্র সরে যেতে নির্দেশ দেন। ওই চিঠিতে উল্লেখ আছে, চেয়ারম্যান অসুস্থতার কারনে ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফিরোজ খাঁনকে (তাপস) ১৯ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা চায়ের দোকানে বসা ছিল। ওই সময় আমতলী সদর ইউনিয়ন যুবদল আহবায়ক তাপন খাঁন আরো কিছু লোক নিয়ে এসে চেয়ারম্যানকে একটি কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলেন। চেয়ারম্যান স্বাক্ষর দিতে রাজি ছিল না।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top