রবিউল ইসলাম বাবুল, বিভাগীয় প্রতিনিধি, রংপুরঃ
দেশের উত্তর জনপদের বিভাগ রংপুর আর এ বিভাগের এক প্রত্যন্ত জেলা ঠাকুরগা। এ জেলায় মোট ৫ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ অর্থ বছরে হরিপুর উপজেলা গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচিতে সাফল্যের শীর্ষে উঠে এসেছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল ইসলাম। সরকারি বরাদ্দকৃত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে তিনি যেন তার কর্মস্থলের নিজ উপজেলাকে রূপ দিয়েছেন উন্নয়নের রোল মডেলে।
তার এ দূরদর্শিতা, নেতৃত্বগুণ এবং সঠিক তদারকি পদ্ধতি এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় এনেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন। তাই তার আইডিয়াকে এ বিভাগের সকল জেলা ও উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাগন নিজ নিজ উপজেলায় বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
৩০ জুন সারাদিন হরিপুর উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের টি,আর,কাবিটা/ কাবিখার আওতায় রাস্তা মেরামত পাকা করণ, ব্রীজ কার্লভাট ইউড্রেন নির্মান, আশ্রাযন পকল্প ত্রাণ বিতরণ গ্রামীণ সড়ক, সেতু, কালভার্ট, খালপাড়, স্কুলসংলগ্ন চলাচলের রাস্তা— সব সবকিছুতেই রয়েছে উন্নয়নের ছোঁয়া। যেখানে অতীতে খানা-খন্দে ভরা রাস্তায় মানুষ দুর্ভোগ পোহাতো, আজ সেখানে পাকাঘাট, ঢালাই সড়ক এবং পরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য, তার তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত টিআর, কাবিখা, কাবিটা, রক্ষণাবেক্ষণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর মান এবং সময়মতো সম্পন্ন হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক সন্তুষ্টি। কাজের মান পর্যবেক্ষণে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন, প্রকল্প কমিটির সঙ্গে সমন্বয়, ঠিকাদারদের নিয়ম মেনে কাজ করানো ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতার কারণে অন্য অনেক উপজেলার তুলনায় তার কর্মস্থল আলাদা করে প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, “আমরা কখনো কল্পনাও করিনি এতো দ্রুত এবং এতো মানসম্মত উন্নয়ন আমাদের এলাকায় হবে। পিআইও স্যারের কারণে আজ গ্রামের চেহারাই পাল্টে গেছে।”
এ বিষয়ে পিআইও মফিজুল ইসলাম দৈনিক আজকের কাগজ ও আমার বাংলাদেশ সাংবাদিক কে বলেন, “আমি সবসময় চেয়েছি সরকারি অর্থ যেন যথাযথভাবে ব্যবহার হয় এবং এর সুফল সরাসরি পৌঁছায় সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। এটি শুধু আমার দায়িত্ব নয়, দেশের প্রতি দায়বদ্ধতাও বটে ।
মফিজুল ইসলাম সরকারি দপ্তরের একজন কর্মকর্তা হয়েও তিনি প্রমাণ করেছেন, সদিচ্ছা থাকলে এবং সঠিক পরিকল্পনা থাকলে যে কোনও স্থানকেই উন্নয়নের আলোকিত পথে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তার এই কর্মনিষ্ঠা এবং জনকল্যাণে অবদান রংপুরবাসীর কাছে হয়ে উঠেছে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
তরুণ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য পিআইও মফিজুল ইসলামের কাজ অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে।
উন্নয়নের এ ধারা যদি অন্যান্য উপজেলাতেও অনুসরণ করা হয়, তাহলে রংপুর বিভাগই নয়, গোটা দেশ একদিন পাবে একটি টেকসই উন্নয়নের রূপরেখা যা এই লিজেন্ড করে দেখিয়েছেন।
এব্যপারে হরিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে আলোচনা হলে তিনি বলেন, কাজের অগ্রগতি মান উন্নয়ণ দেখে আমি অত্যান্ত খুশি, এর আগে েেমন ভালো কাজ করে নি কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা। যা-কিনা সদ্য ৬ মাস আগে যোগদান কারী পি,আই,ও মফিজুল ইসলাম সাহেব করে দেখিয়েছেন।