মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারী জেলায় ২০২৫ সালের জুন মাসে সড়ক ও রেলপথে পৃথক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫ জন। জেলার সদর, সৈয়দপুর ও ডোমার উপজেলায় এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। সড়কে বেপরোয়া যান চলাচল এবং রেলক্রসিংয়ে নিরাপত্তার অভাবকে এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা।
গত ১৫ জুন, সদর উপজেলার কুন্দপুকুর ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়ার মোড়ে একটি ভ্যান ও বাইসাইকেলের সংঘর্ষে আজিজুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, দুটি বাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
এরপর ১৮ জুন সকাল ৯টার দিকে সৈয়দপুর–রংপুর মহাসড়কের কলাবাগান এলাকায় একটি বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন দুই যুবক—নূর ইসলাম (৪৮) এবং মাসুদ (২৮)। ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী শ্যামলী পরিবহন বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
অপর দিকে, গত ২৫ জুন দুপুরে নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ি এলাকার একটি অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ঘটে আরও একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দ্রুতগতির চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি পার হওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেল রেললাইন অতিক্রম করার চেষ্টা করলে ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে নিহত হন দুই আরোহী—সন্তোষ রায় (৪০) এবং ভবেষ রায় (২৮)।
স্থানীয়রা জানান, রেলক্রসিংটি অরক্ষিত হওয়ায় এমন দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে, অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এদিকে, সড়ক ও রেলপথ—উভয় ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে অরক্ষিত রেলক্রসিং, হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালনা ও বেপরোয়া গতির বাস চলাচল অব্যাহত থাকলে জেলার জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।
নিরাপদ সড়ক ও রেলপথ নিশ্চিত করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপ এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতার উপর জোর দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।