মোঃ হাচান আল মামুন দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি:
পশু কল্যাণ আইন, ২০১৯ যেখানে বলছে—প্রতিটি প্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীল ও মানবিক আচরণ নিশ্চিত করতে হবে, সেখানে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার পশুদের প্রতি চরম অবহেলার চিত্র দিন দিন প্রকাশ্য হচ্ছে। বিশেষ করে, মুরগি পরিবহনের ক্ষেত্রে আইন ও মানবিকতা—দুটোই যেন বেমানান শব্দ।
দীঘিনালা বাজার থেকে প্রতিদিন মোটরসাইকেলে করে উল্টো ঝুলিয়ে মুরগি সরবরাহ করা হচ্ছে খাগড়াছড়ি সদর, মাটিরাঙ্গা, সাজেকসহ পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন বাজারে। মুরগিগুলোকে পা বেঁধে মোটরসাইকেলের পেছনে ঝুলিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাহাড়ি কাঁচা রাস্তায় ভয়ানক কষ্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে প্রাণীরা দারুণ শারীরিক যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, অনেক সময় পথেই তাদের মৃত্যু হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এক সচেতন নাগরিক বলেন,
“একটা মুরগি কি শুধুই খাদ্য? তাদেরও তো জীবন আছে, ব্যথা আছে। এইভাবে উল্টো ঝুলিয়ে নেওয়া শুধু অমানবিকই নয়, বেআইনিও। অথচ প্রশাসনের যেন কিছুই যায় আসে না।”
পশু কল্যাণ আইন, ২০১৯-এর ধারা ৬(১)(গ) অনুযায়ী, কোনো প্রাণীকে যন্ত্রণাদায়ক উপায়ে পরিবহন করা অপরাধ এবং তা করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে বাস্তবে এসব আইন যেন কেবল কাগজেই আছে।
দীঘিনালা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভূমিকা নিয়েও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। এতো বড় অনিয়ম দিনের পর দিন ঘটলেও কোনো অভিযান বা কার্যকর তদারকি নেই বললেই চলে। একাধিক অভিযোগের পরও দপ্তরটি নীরব ভূমিকা পালন করে চলেছে।
এমন অমানবিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ড রোধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ এবং সংশ্লিষ্ট পরিবহনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।