৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

লালমনিরহাটে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত, এলজিইডির ব্যতিক্রমী সাফল্যে প্রশংসিত ইঞ্জিনিয়ার এন্তাজুর রহমান ও এ,কে,এম ফজলুল হক

রবিউল ইসলাম বাবুল, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাস্তবায়ন করেছে একগুচ্ছ যুগান্তকারী উন্নয়ন প্রকল্প। এই উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং সুষ্ঠু বাস্তবায়নের পেছনে যে নামটি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে, তিনি হলেন ইঞ্জিনিয়ার এন্তাজুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই)লালমনিরহাট সদর উপজেলর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প ঘুরে দেখা গেলো এমন চিত্র।
সড়ক উন্নয়ন, ড্রেন নির্মাণ, কালভার্ট ও আরসিসি রাস্তাসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ। এ উপজেলার জন্য এর্থ বছরে বরাদ্দ ধরা হয়েছিলো ৫ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা এর মধ্যে টেন্ডার বাবদ ৩ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা বাকি ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পি,আই,সি ,আওতায় ৩০ টি প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যায় করা হয়। টেন্ডার নোটিশে দেখা গেছে ১৯ টি প্যাকেজের মাধ্যমে এ টাকা ব্যয় করা হয়।

এদিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লালমনিরহাট সদর উপজেলা ও আদিতমারী উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এ,কে এম ফজলুল হকের দিন রাত নিরলস পরিশ্রমে সময় মত এ দুই উপজেলার সকল কাজ শেষ করতে পারলেও জেলার
পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা,কালীগঞ্জ এই ৩ উপজেলায় ৩০ জুনের পরে কাজ চলমান রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ৩০ জুনের মধ্যে এ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত টাকা ব্যায় করতে হবে তা,-না- হলে সরকারের কোষাগারে বরাদ্দকৃত টাকা ফিরত দিতে হবে। কিন্তুু তা না করে কিভাবে টাকা খরচ দেখিয়েছেন তা সকলের অনূমেয় ।

পাঠক এবার প্রশ্ন হলো এই তিন উপজেলার উন্নযন মূলক কাজে কোটি কোটি টাকা কি তাহলে ফিরত গেছে সরকারের কোষাগারে না- কি অন্য কিছু ?? যদি ফ্যাসিবাদীদের পতনের পরেও এমন অবস্থা হয় তাহলে দেশের বর্তমান অবস্থা কেনম চলছে এ প্রশ্ন আপনাদের কাছে রইল ??

এদিকে ৩০ জুন পার হবার পরেও সরকারী টাকা ফিরত না দিয়ে নানান টাল বাহানা করে নাম মাত্র কাজ করে মোটা অংকের টাকা লোপাট করার পরিকল্পনা চলছে বলে এনিয়ে জেলার সূধীজনের মাঝে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দ্রুত লালমনিরহাট জেলার সুযোগ্য জেলা প্রসাশক কে বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনে সু-দৃষ্টি কামনা করছেন জেলাবাসী।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার প্রতিটি প্রকল্পেই স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করে তাক লাগিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম,ফজলুল হক ও এন্তাজুর রহমান। কাগজ কলমে ও নথিপত্র অনুযায়ী, সদর আদিতমারী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে উন্নয়ন কাজের আওতায় আছেঃ-

১/ আরসিসি রাস্তা নির্মাণ,
২/ ড্রেন টয়লেট,ও কালভার্ট ও প্রাচীর নির্মাণ,প্যালাসাইড ৷ নির্মান,
৩/শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অবকাঠামোর উন্নয়ন,
৪/এবং জরুরি সংরক্ষণ ও পুনঃনির্মাণমূলক কার্যক্রম,
৫ নল
কূপ স্থাপন ও গোড়াপাকা করণ,
৬/ সেলাইমেশিন বিতরণ,

এই উন্নয়নকাজগুলোর সফল বাস্তবায়নের জন্য এলজিইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিরলস পরিশ্রম করে ইতি মধ্যে কাজগুলি সম্পূর্ণ করেছে। বিশেষ করে লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান এর নিরালস তদারকি ও নিজেস্ব পরিকল্পনার ছোঁয়া থাকায় প্রকল্পগুলোতে গতি এসেছে এবং জনগণের মাঝে ব্যাপক সন্তুুষ্টি দেখা দিয়েছে।

এব্যপারে ঐ দুই উপজেলার স্থানীয় প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষও আদিতমারী উপজেলার সৎ ও নিষ্ঠাবান ইঞ্জিনিয়ার এ,কে,এম,ফজলুল হক ও সদর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এন্তাজুর রহমানের কর্মদক্ষতা ও অঙ্গীকারে মুগ্ধ। আগামীতে ও উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে আদিতমারী ও সদর উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামোতে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে বলেই মতামত পোষণ করেছেন স্থানীয় জনগন ।

এর আগে ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসোরদের চাপের মুখে মুখথুবরে পড়েছিল এ দুই উপজেলার অনেক উন্নযন মূলক কাজ।সময়মত কাজ না করেও টাকা উত্তোলন কেরে নিয়েছিল । সরকারী কর্মকর্তাগন তাদের কাছে অনেকটাই অসহায় ছিল। ৫ আগষ্টের পট পরিবর্তনের সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন মনখুলে কাজ করতে পারছেন বলে সময়মত কাজ সম্পূর্ণ করেছেন সদর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এন্তাজুর রহমান ও আদিতমারী উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল হক।

এ প্রসঙ্গে এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,এতো সুষ্ঠু এবং দ্রুত গতিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন আমরা অনেক দিন পর দেখলাম। প্রকৌশলী সাহেব খুব আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। উন্নয়নের এই ধারা যেন অব্যাহত থাকে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

প্রসঙ্গত, এই সকল কাজের নিরীক্ষা ও অনুমোদন সুনির্দিষ্ট প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্য দিয়েই সম্পন্ন হচ্ছে। স্থানীয় উন্নয়ন কমিটি (RFQ ও PIC) তদারকির দায়িত্বে রয়েছে। ফলে কাজের গুণগত মান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে আর কোনো সন্দেহ নেই। কাজ ৩০ জুনের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে।

এব্যপারে লালমনিরহাট সদর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এন্তাজুর রহমান ও আদিতমারী উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এ,কে,এম,ফজলুল হকের সঙ্গে আলোচনা হলে তারা দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক আমার বাংলাদেশ সাংবাদিক কে বলেন, আমাদের কাজের মান অনেক ভালো, চাইলে যে কেউ কাজ দেখতে পারে। আমার দপ্তরের সকলেই সততা নিষ্টা নিয়ে কাজ করে বলেই আমরা যথা সময়ে কাজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছি এবং সকল কাজের গুনগত মান ভালো।

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় এলজিইডির এমন সুশৃঙ্খল উন্নয়নচিত্র নিঃসন্দেহে অনুকরণীয়। প্রকৌশলী এ,কে এম ফজলুল হক এ এন্তাজুর রহমানের নেতৃত্বে যে গতিতে আদিতমারী উপজেলা ও লারমনিরহাট সদর উপজেলায় কাজ হয়েছে, তা শুধু বর্তমান নয়, আগামী দিনের উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে উঠবে—এমটাই প্রত্যাশা সর্বমহল ও গূণীজনদের ।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top