এম,এ,করিম ভুঁইয়া, পরশুরাম প্রতিনিধি:
ফেনী জেলার মানুষের ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যার ক্ষতবিক্ষত অবস্থা দেশ এবং বিদেশের মানুষের কাছে এক ভয়াবহ নির্মম ইতিহাস। যেখানে ছিল মানুষের দুর্ভোগ, মানুষের লাশ পানিতে বাসিয়ে দেওয়া, রাস্তাঘাট, কৃষি জমি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক, গবাদি পশু,ঘরবাড়ি, চরম বিপর্যয়, এখনো অনেকেই ২০২৪ সালের বন্যার রেস কাটিয়ে না উঠতেই ২০২৫ সালে এসে আবার ফেনী জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার মানুষের ভাগ্যে বন্যা।
টানা ২-৩ দিন সাগরে নিম্নচাপ ৩ নাম্বার সতর্ক সংকেত চলিতেছে,টানা দুই তিন দিন ভারী বর্ষনে উজানের পানির স্রোতে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, ১৫ টি জায়গায় মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে, ৩০ টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে,ফুলগাজী বাজারে দোকান সহ নদীতে তলিয়ে গেছে,
৮ জুলাই ( মঙ্গলবার) বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ সময় স্থানীয় প্রশাসন,রাজনৈতিক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত (ত্রাণ পূর্ণবাসন শাখা) একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে ফেনী জেলায় ২৪ ঘন্টায় ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে,
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয় ফুলগাজী উপজেলায় ৯৯ টি ও পরশুরাম উপজেলায় ৩২ টি স্কুল, কলেজ, মাদরাসায়, আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ফেনীর (ত্রাণ ও পূর্ণবাসন শাখায়) একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তিতে ২টি মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে (১) ০১৮৯৮-৪৪৪৫০০ (হোয়াটসঅ্যাপ)(২)০১৩৩৬-৫৮৬৬৯৩(হোয়াটসঅ্যাপ)
জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনা খাওয়ার,মোমবাতি, গ্যাস লাইট, প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে,
ইতিমধ্যে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ নজরদারি রাখছে, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী টিম ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ জরুরী প্রয়োজনে তাদের মোবাইল নাম্বার দিয়েছে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেন ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বন্যা নতুন কিছু নয়, ২ -৩ দিন ভারি বৃষ্টি হলে ও উজান থেকে পানি নেমে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে মানুষের চরম দুর্ভোগ।
এদিকে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে,তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, গবাদি পশু, নারী ও শিশু, পুকুরের মাছ,সবকিছু নিয়ে মানুষের চরম দুর্ভোগ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফলতির কারণে মুহুরি ও সিলোনিয়া নদীর টেকসই স্থায়ী বাধনির্মাণ বাস্তবায়িত হচ্ছে না, মন্ত্রী, এমপি, সচিব,এসে পরিদর্শন করে আশ্বাস দিয়ে গেছে কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না?
যতদিন না মুহুরি ও সিলোনিয়া নদীর দুই পাশে খাল খনন করে টেকসই স্থায়ী বাধ নির্মাণ না হবে ততদিন ফুলগাজী ও পরশুরাম বাসির কপালে দুঃখ রয়েছে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেন ফুলগাজী ও পরশুরামের মানুষের একটাই দাবি মুহুরি ও সিলোনিয়া নদীর খাল খনন করে দুই পাশে টেকসই বাঁধ নির্মাণ