নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জুলাই সনদকে সংবিধানের মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবকে ‘বিভ্রান্তিমূলক’ আখ্যায়িত করেছেন। শুক্রবার (১১ জুলাই) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া পরিষদের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সংস্কার একটি গতিশীল প্রক্রিয়া, যা থাই পর্বতমালার মতো স্থির নয়। জুলাই সনদের অনেক বিষয় বিএনপি সমর্থন করলেও এটিকে মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।”
রিজভী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “জনগণকে বিভ্রান্ত না করে তাদের হাতে প্রকৃত ক্ষমতা ফিরিয়ে দিন। দেশে এখন দুর্ভিক্ষের আলামত দেখা দিচ্ছে – গার্মেন্টস বন্ধ হচ্ছে, মানুষ কর্মহীন হচ্ছে। যদি খাদ্য সংকট প্রকট হয়, জনগণ কাউকে ছাড় দেবে না।” তিনি দাবি করেন, বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবেই জুলাই সনদের অনেক দাবি প্রতিফলিত হয়েছে।
গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছিলেন, “১৯৭২ সালের সংবিধানে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত না করা প্রমাণ করে, কোনো ঘোষণাপত্র সংবিধানের অংশ হয় না। জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে স্বীকৃতি দিতে চতুর্থ তফসিলে শুধু ‘জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪’ যোগ করা যেতে পারে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু। রিজভী তার বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘জনসমর্থিত’ বলে অভিহিত করে বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা সমর্থন করছি, কিন্তু দুর্ভিক্ষ এলে জনগণ কাউকে রেহাই দেবে না।”