নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ঢাকার মিটফোর্ডে নৃশংসভাবে নিহত ব্যবসায়ী মো. সোহাগ ওরফে লাল চাঁদকে ‘হিন্দু’ বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত মিথ্যা প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। রোববার রাতে প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে ও ডব্লিউআইওনের মতো ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর এ ধরনের প্রতিবেদনকে ‘সচেতনভাবে বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করা হয়।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়, নিহত সোহাগ একজন মুসলিম ব্যবসায়ী ছিলেন, যার পিতা মো. আইয়ুব আলী ও মাতা আলেয়া বেগম। তার স্ত্রী লাকি বেগম ও দুই সন্তান ফাতেমা ও সোহানসহ পরিবারের সকল সদস্য মুসলিম ধর্মাবলম্বী। গত শুক্রবার তাকে বরগুনা সদর উপজেলার বান্দারগাছিয়া গ্রামে তার মায়ের কবরের পাশে ইসলামিক রীতিতে দাফন করা হয়েছে।
৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একদল দুর্বৃত্ত সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে, যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো শুধুমাত্র শিরোনামে সোহাগকে ‘হিন্দু’ দাবি করলেও প্রতিবেদনের মূল অংশে তার ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে কোনো প্রামাণিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। এটি বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’-এর ভিত্তিহীন ন্যারেটিভ তৈরি করার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়।
এ ঘটনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন মহল থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমের এ ধরনের ‘সাংবাদিকতা বিচ্যুতি’র তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমগুলোর এমন আচরণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন উত্তেজনা তৈরি করতে পারে।