নিজস্ব প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জে চলমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে স্থানীয় প্রশাসন কারফিউর মেয়াদ শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে জারি করা এই কারফিউর মধ্যে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছিল, যখন শহরের কিছু দোকানপাট খুলেছিল এবং সীমিত যানবাহন চলাচল করছিল।
পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জানা গেছে, এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার পর থেকে গোপালগঞ্জে পুলিশের ব্যাপক অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন থানা থেকে ১৬৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে সদর থানা থেকে ৪৫ জন, মুকসুদপুর থেকে ৬৬ জন, কাশিয়ানী থেকে ২৪ জন, টুঙ্গিপাড়া থেকে ১৭ জন এবং কোটালীপাড়া থেকে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কারফিউজনিত ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ফল ব্যবসায়ী রতন সাহা বলেন, “তিন দিনে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ফল পচে গেছে। স্বল্প সময়ে দোকান খুলে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।”
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ সদর থানায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা নিউটন মোল্লা ও আতাউর রহমান পিয়ালসহ ৭৫ জনের নামে এবং ৪৫০-৫০০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোপিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বিশ্বাসসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য এই ঘটনায় আহত হয়েছেন।
যদিও কারফিউ শিথিলের সময় শহরে কিছুটা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরে এসেছিল, কিন্তু বড় বাজারগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে চলছে শহর, তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।