নিজস্ব প্রতিনিধি:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেনাবাহিনীর পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় সততা, পেশাদারিত্ব ও রাজনৈতিক নিরপেক্ষতাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। রোববার (২০ জুলাই) সেনাসদরে ‘নির্বাচনী পর্ষদ ২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “যেসব অফিসার নৈতিকতা, নেতৃত্বের গুণাবলী এবং পেশাগত দক্ষতায় অনন্য, তারাই উচ্চতর পদে উন্নীত হওয়ার যোগ্য।”
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করেন। তিনি বলেন, “দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর অবদান অতুলনীয়। দুর্যোগ মোকাবিলা ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় তাদের ত্যাগ জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনাসদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে নিহত personnel এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসারদের পরবর্তী ক্যারিয়ার মূল্যায়ন করা হবে। ড. ইউনূস বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন যে, পদোন্নতির ক্ষেত্রে শুধু সামরিক দক্ষতাই নয়, ব্যক্তির চারিত্রিক দৃঢ়তা ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ববোধই প্রধান বিবেচ্য হওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে সেনা সদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেসামরিক প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনা সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে তার মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।