রবিউল ইসলাম বাবুল, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা নদীর পানি। এতে করে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ এলাকার দুইটি ইউনিয়ন ও আদিতমারী উপজেলা তিস্তার চর এলাকায় দেখা দিয়েছে বন্যার শঙ্কা।
সোমবার (২১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে দেশের অন্যতম বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক শূন্য ৭ মিটার, যা বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব মতে, বর্তমানে তিস্তার পানি বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে করে খেতখামার ও বসতবাড়ি প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকেই গবাদিপশু ও মালামাল নিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গড্ডিমারী ইউনিয়নের স্হানীয় বাসিন্দা করিম উদ্দিন বলেন, ‘উজান থেকে প্রচুর পানি আসছে। ইতিমধ্যে নিচু এলাকায় পানি ঢুকেছে। অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।
ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, ‘বন্যা হলেই আমাদের কয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এবারও তেমন পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে।’
হাতীবান্ধা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যদি পানি আরও বাড়ে, তাহলে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সকল ইউনিয়ন পরিষদে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।”
পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার সঙ্গে মুঠোফোন আলোচনা হলে তিনি বলেন, ‘উজান থেকে পানি আসায় তিস্তার পানি বাড়ছে। সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে আসা পানির ঢলে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে এবারের পানি বৃদ্ধি দ্রুত হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক রকিব হায়দার এর সঙ্গে মুঠোফোন আলোচনা হলে তিনি দৈনিক আমার বাংলাদেশ সাংবাদিক কে বলেন,এখনও পরিস্থিতি বন্যার দিকে যায়নি তবে বন্যা মোকাবেলার জন্য জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তর কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।