নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমন্বয়কদের চাঁদাবাজির অভিযোগে গভীর মর্মপীড়া প্রকাশ করেছেন। সোমবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবদলের গ্রাফিতি আর্টসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মাত্র এক বছরেই এই অবস্থা! যে তরুণরা দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল, তারাই আজ চাঁদাবাজির অভিযোগে জড়িয়ে পড়েছে। আমরা কি এমন ভবিষ্যৎ চেয়েছিলাম?”
ফখরুলের কণ্ঠে বেদনা মিশে ছিল যখন তিনি বলেন, “সমগ্র জাতি তরুণদের দিকে আশার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কিন্তু আজ আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যে এই তরুণরা দেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলবে।” তিনি সতর্ক করে দেন যে, “এ ধরনের ঘটনা ফ্যাসিবাদীদের ফিরে আসার পথ সুগম করতে পারে।”
জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা প্রশ্ন তোলেন, “হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার কোথায়? প্রকাশ্যে যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?” তিনি দাবি করেন, “২৪ সালের জুলাই মাসে বিএনপির ৭৯ জন যুবদল কর্মী ও ১৪২ জন ছাত্রদল কর্মী শহীদ হয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দিতে হবে।”
সংস্কার প্রক্রিয়ার গতি সম্পর্কে ফখরুলের বক্তব্য, “সরকার সংস্কারের নামে শুধু সময়ক্ষেপণ করছে। কিন্তু আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সত্যিকারের পরিবর্তন চাইলে রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিকসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের মতামত নিতে হবে।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিএনপি নেতার বার্তা, “সত্য বলার সাহস দেখান। খালেদা জিয়ার অবদানকে স্বীকৃতি দিন। কালোকে কালো আর সাদাকে সাদা বলুন।”
তিনি জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফখরুলের ভাষায়, “জুলাই আন্দোলন কোনো একটি দলের নয়, এটি ছিল সমগ্র জাতির আন্দোলন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই এতে অংশ নিয়েছিল।”