শরিফুল ইসলাম , সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
শহীদ আসিফ নতুন আলোয় আলোকিত হলো শিক্ষা ও সংস্কৃতির চর্চা আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো “শহীদ আসিফ স্মৃতি পাঠাগার”-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। স্থানীয় শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পাঠাগারটি নতুনভাবে যাত্রা শুরু করল শিক্ষা, জ্ঞান ও মানবিক চেতনার বিকাশে।
রবিবার ( ৩ আগস্ট) সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ লাইব্রেরী রুমে দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মোঃ মাসুদুজ্জামানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পাঠাগার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক মোঃ নোমান হোসেন নয়ন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক মোঃ নোমান হোসেন নয়ন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল হাশেম ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাতক্ষীরা শহর সভাপতি মুহা. আল মামুন। শহীদ আলী স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন ,শহীদ আসিফের ভাই মোঃ রাকিব হোসেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা শহর ছাত্র শিবিরের অফিস সম্পাদক মোঃ নুরুন্নবী, প্রকাশনা সম্পাদক হাফেজ আনিসুর রহমান ,তথ্য ও মিডিয়া সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা প্রমুখ।
প্রধান অতিথি নোমান হোসেন নয়ন শহীদ আসিফের অবদান ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, “শহীদ আসিফ কেবল একজন সংগ্রামী মানুষই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি আদর্শের নাম। তাঁর স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে এই পাঠাগার গড়ে তোলা হয়েছে, যা আগামীর প্রজন্মকে আলোর পথে এগিয়ে নিতে অনুপ্রাণিত করবে।”ইসলামী ছাত্রশিবির কখনো ক্রেডিট নেওয়ার জন্য কাজ করে না, ইসলামী ছাত্রশিবির সব সময় আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাজ করে যায়। ২০২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যে সকল ভাই এবং বোনেরা শহীদ হয়েছে সকল শহীদেরা আমাদের ।এখানে শহীদদের কে পৃথক করে দেখার কোন সুযোগ নেই। আজ এই পাঠাগার উদ্বোধনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে জানার পাশাপাশি জ্ঞান আহরণ করতে পারবে।
প্রফেসর মোঃ আবুল হাশেম বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই মহৎ উদ্যোগকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সাধুবাদ জানাচ্ছি ।তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সকল শিক্ষার্থী এই পাঠাগার থেকে শহীদ স্মরণিকা পড়ে শহীদদের স্মৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে এবং জুলাই স্মৃতিকে বুকে লালন করতে পারবে।
মুহা. আল মামুন বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময় দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে থাকে। আগামী ন্যায় ,ইনসাফভিত্তিক এবং বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে ছাত্রশিবির সবসময় ছাত্র সমাজের জন্য কাজ করে যাবে ইনশাআল্লাহ।
সর্বশেষ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাশেমের দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে পাঠাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।