নিজস্ব প্রতিনিধি:
গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সূত্রপাত একটি হানিট্র্যাপ থেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে পাঁচ সন্দেহভাজনকে আটক করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে তাদের মিলিয়ে শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (ক্রাইম) রবিউল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি, যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি এই মামলায় জড়িয়ে না যায়।”
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে তুহিনকে হত্যা করা হয়। শুক্রবার সকালে বাসন থানায় এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল একটি হানিট্র্যাপ থেকে। গোলাপি নামে এক নারী বাদশা নামের এক ব্যক্তিকে প্রলোভনে ফেললে, ওই নারীর সঙ্গে থাকা সশস্ত্র যুবকরা বাদশাকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় কাছাকাছি দাঁড়িয়ে মোবাইলে দৃশ্যটি ধারণ করছিলেন সাংবাদিক তুহিন। হামলাকারীরা তাকে লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দাড়িওয়ালা ও মাথায় ক্যাপ পরা ফয়সাল ওরফে কেটু মিজানকে চাপাতি হাতে দৌড়াতে দেখা গেছে। তার সঙ্গে শাহজামাল, বুলেট ও সুজনসহ আরও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।
পুলিশের একাধিক টিম পলাতক গোলাপি ও অন্যান্য চিহ্নিত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রবিউল হাসান।