২০শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৬শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক এর পরিচালক (প্রশাসন) কাজী মাহবুবুর রহমান রশিদ নারী কেলেঙ্কারিতে দ্বায়ে ওএসডি

মোঃ বাদশা প্রমানিক নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক এর পরিচালক (প্রশাসন) কাজী মাহবুবুর রহমানকে নারী কেলেঙ্কারির দ্বায়ে ওএসডি করা হয়েছে।

নীলফামারী জেলা সদরের কাজীপাড়ার কাজী তৈয়বুর রহমানের পুত্র কাজী মাহবুবুর রহমান। তার পরিচিতি নম্বর ১৫৫২৮। তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে মুজিব কর্নার সহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকান্ড অতি উৎসাহী হয়ে পালন করত। উল্লেখ্য যে, তার ভাই কাজী মামুন নীলফামারী পৌরসভা আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত থাকা এবং কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক এর অধীনে ক্যাডার পদে চাকুরির সুবাদে তিনি দীর্ঘদিন যাবত গোপালগঞ্জে অবস্থান করেন।

সেখানে অবস্থানকালে তিনি বিভিন্ন নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ইমরান নামক তারই এক পিওনের স্ত্রী ২সন্তানের জননী হামিদা হোসেন লাভলীকে নিজের স্ত্রীর মত ব্যবহার করতে থাকে। একবধু দুইস্বামীর পরকীয়া প্রেমের ঘটনা এলাকায় ফাঁস হলে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। এ নারী কেলেঙ্কারি থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য লাভলীর স্বামী ইমরান এবং তার জোকসাজসে নীলফামারীর ভুয়া কাজী দ্বারা লাভলী বেগম কর্তৃক স্বামীকে তালাকনামা ও তার সাথে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়। অথচ লাভলী এখনো তার স্বামীর ইমরানের সঙ্গে গোপালগঞ্জে সংসার করে আসতেছে।

এদিকে কাজী মাহবুবুর রশিদ তারই ফুফাতো বোন কে ১ম স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করে। সেখানে তার ২পুত্র ১কন্যা সন্তান রয়েছে। প্রথম স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্ত্বেও, লাভলী সাথে তো কিছুর পরেও সবকিছু গোপন রেখে আবার অন্য একটি মেয়েকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে সামাজিক মর্যাদা না দিয়ে গোপন রাখার চেষ্টা করে। ২য় স্ত্রী সামাজিক মর্যাদা চাইলে শুরু করে বর্বরোচিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। কাজী মাহবুবুর রশিদ এর নারী কেলেংকারী ও অনৈতিকতা ক্রমে জানাজানি হলে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে বিভিন্ন পোর্টালে ও ফেইসবুক পেজে এবং অনলাইন মিডিয়ায় ছবি সহ সংবাদ প্রকাশ করে এতে তার নারী কেলেংকারী ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়ে।

নারী লোভী কাজী মাহবুবুর রশিদ ঘরের স্ত্রীদেরকে সময় না দিয়ে সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে সেই পরকীয়া লাভলির সাথে রাত কাটায় গোপালগঞ্জে গিয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রী এ ঘটনা জানতে পেরে তার পরকিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে। এতে তাদের সংসারে অশান্তি লেগে থাকে। দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে শুরু হয় অমানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন। দ্বিতীয় স্ত্রী তার লুচ্চামি বন্ধ করার অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তারবিচার ও শাস্তির দাবি করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে।দ্বিতীয় স্ত্রী অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাকরির বিধি লংঘন করার দায়ে কাজী মাহবুবুর রশিদকে গত ৮ জুলাই তার পরিচালক পথ থেকে ডিমোশন করে ওএসডি করা হয়। তিনি গত ৮জুলাইয়ের পুর্বে পদোন্নতি প্রাপ্তী অবস্থায় স্ত্রীদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আসছিল এবং ২য় স্ত্রীকে প্রাননাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দিয়ে আসছিল।

এছাড়াও কাজী মাহবুবুর রশিদ প্রাধিকার প্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত গাড়ি ঋণ সুবিধা গ্রহণকারী ব্যক্তি। গাড়ী সেবা নগদায়ন নীতিমালা ২০২০(সংশোধিত) এর ধারা-২ উপধারা( ঘ) এর বিধান মতে “গাড়ী রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়” অর্থ এ নীতিমালার আওতায় সুদমুক্ত ঋণের অর্থে ক্রয়কৃত গাড়ির মেরামত,সংরক্ষণ, জ্বালানি, ড্রাইভারের বেতন বীমা ফিটনেস, নবায়ন কর অন্যান্য ফিসহ রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকার স্হলে অনিয়ম করে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে অতিরিক্ত ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।
দাবি উঠেছে, এই নারী কেলেংকারী ও অনৈতিক কার্য্যকলাপে জড়িত এবং সরকারি গাড়ি ব্যবহার বিধি লংঘন করা ঐ লুচ্চা কর্মকর্তার ঘটনার তদন্ত পুর্বক শাস্তির ব্যবস্থা করা হক ।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top