জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীতে ভার্মি কম্পোস্ট বাজারজাতকরণে বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে জেলা শহরের হর্টিকালচার সেন্টারে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারের বৈধতা সনদ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা এবং এ্যাডভোকেসি, নেটওয়ার্কিং ও লবিং কার্যক্রমকে শক্তিশালী করা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন কারিতাস বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মি. ফ্রান্সিস ব্যাপারী , পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মাহবুব রব্বানীসহ জেলার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো ভার্মি কম্পোস্টের গুণাগুণ তুলে ধরা, পরিবেশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা উন্নয়নে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এছাড়া কো-অপারেটিভ সদস্য, কৃষক, সমবায় নেতা, সার ডিলার এবং স্থানীয় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে এ্যাডভোকেসি ও লবিং কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করা।
এ বিষয়ে প্রফেসর ড. মাহবুব রব্বানী বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট কেবল কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক নয়, এটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই প্রযুক্তি হিসেবে ভবিষ্যতের কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এর কার্যকারিতা আরও প্রমাণ করতে পারব।
কর্মশালায় বক্তারা স্থানীয় পর্যায়ে কৃষক ও সমবায় নেতাদের মাধ্যমে এ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং কার্যক্রম বৃদ্ধির ফলে সরকারি সনদ প্রাপ্তি সহজতর হবে। এতে ভার্মি কম্পোস্টের বাজার সম্প্রসারণও হবে এবং কৃষি ও জীবিকার মান উন্নয়ন হবে। কর্মশালায় ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণের বিভিন্ন তথ্যচিত্র ও ডকুমেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। গবেষণাগারের বৈজ্ঞানিক ফলাফল এবং ক্ষেত্র পর্যায়ের উদাহরণগুলোর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা এ বিষয়ে বাস্তব ধারণা লাভ করেন। এ উদ্যোগের মাধ্যমে পটুয়াখালীতে জৈব কৃষি ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সম্প্রসারণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আরাফাত হোসেন, কৃষিবিদ মো. শাহাদাত হোসেন, এ আর এম সাইফুল্লাহ, উপজেলা কৃষি অফিসার গণ, কো-অপারেটিভ লিডার, প্রয়াস প্রকল্পের কর্মী, স্থানীয় সার ও বীজ বিক্রেতা, জৈব কৃষিতে উদ্ভুদ্ধ ব্যক্তিবর্গসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এ উদ্যোগের মাধ্যমে পটুয়াখালীতে জৈব কৃষি ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সম্প্রসারণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।