নিজস্ব প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনির দ্বিতীয় বিয়ে ও পরবর্তী তালাক সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। গত বুধবার রাতে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে রনি ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফারজানা আফরোজের কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড প্রকাশ করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
ইলিয়াস হোসেন তার ভিডিওবার্তায় দাবি করেন, রনি সম্পত্তির লোভে ফারজানাকে বিয়ে করেছেন এবং পরে তালাক দিয়েছেন। ফারজানা আফরোজের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রনি ২০০৯ সাল থেকে ফারজানার পেছনে লাগেন এবং ২০১৮ সালে তাকে দিয়ে তার স্বামীকে তালাক দিয়ান। এরপর ২০২২ সালে রনি ফারজানাকে বিয়ে করেন, কিন্তু সম্পত্তি না পেয়ে কিছুদিন আগে তাকে তালাক দেন।
ফারজানা আফরোজ ইলিয়াস হোসেনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, রনি তাকে জানতেন যে তার স্বামী আছে, তবুও বারবার বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। তিনি রনিকে বড় ভাই হিসেবে জানলেও রনি নিজের পরিবারে অশান্তির কথা বলে ইসলামিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেন।রনি তাকে পরিবারের সাথে পরিচয় করাতে অস্বীকার করেন।
ফারজানা আরও বিস্তারিত জানান, দেড় মাস আগে মেয়েকে নিয়ে দেখা করতে রনির অফিসে গেলে রনি তাকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন এবং পুলিশ ডাকেন। পুলিশের কাছে রনি অভিযোগ করেন যে ফারজানা তাকে হিপনোটাইজ করে চট্টগ্রাম নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছেন। পরে রনির মায়ের বাড়িতে গেলেও সেখানে পুলিশ তাকে জেরা করেন এবং রনি তালাক দেন।
ফারজানা দাবি করেন, রনি তার সম্পত্তির লোভে তাকে বিয়ে করেছেন, কারণ তার বোনদের সম্পত্তি তিনি দেখাশোনা করেন। তবে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চললেও, এখন পর্যন্ত গোলাম মাওলা রনি অভিযোগের কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি।