জাকির হোসেন, দুমকী ও পবিপ্রবি প্রতিনিধি :
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী “Smart Budgeting and Financial Compliance” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা। শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি অ্যাশিউরেন্স সেল (IQAC) আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ আগামী শনিবার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত চলবে।
সকালে কৃষি অনুষদের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে স্মার্ট বাজেটিং একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট পবিপ্রবি’র স্বপ্ন বাস্তবায়নে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা অপরিহার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক খাত যত বেশি সুশৃঙ্খল ও স্মার্ট হবে, তত বেশি আমরা উন্নত সেবা ও মানসম্মত শিক্ষা দিতে সক্ষম হবো। এই ধরনের প্রশিক্ষণ শুধু হিসাবরক্ষণে দক্ষতা বাড়াবে না, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি পদক্ষেপকে আরও গতিশীল ও বিশ্বমানের মানদণ্ডে উন্নীত করবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, “শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাতেও আধুনিকতা ও দক্ষতা আনা সময়ের দাবি। রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যবস্থাপনায় সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে স্মার্ট বাজেটিং এবং সঠিক আর্থিক কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ ধরনের প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, “বাজেট প্রণয়ন থেকে শুরু করে অর্থ ব্যয়ের প্রতিটি ধাপে নিয়ম-নীতির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করাই প্রকৃত আর্থিক কমপ্লায়েন্স। এই প্রশিক্ষণ অংশগ্রহণকারীদের শুধু নিয়ম জানাবে না, বরং বাস্তব প্রয়োগে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। স্বচ্ছতা ও সঠিক আর্থিক পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।”
বক্তব্য রাখেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মাসুদ। সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুব রাব্বানি এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম।
প্রশিক্ষণের মূল সেশনগুলো পরিচালনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ডিভিশনের পরিচালক মো. রেজাউল করিম হাওলাদার। প্রথম দিনে তিনি সরকারি আইন, অধ্যাদেশ, বিধি-বিধান, আর্থিক ক্ষমতা বণ্টন, বাজেট ব্যবস্থাপনা কাঠামো এবং হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রশিক্ষণে অর্ধ শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হবে।