২৩শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

মুরাদনগর উপজেলা ধামঘর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সাংবাদিক সম্মেলন

মোঃ মাঈনুউদ্দিন বাহাদুর, কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ১৬নং ধামঘর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বানোয়াট অপপ্রচার করায় সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে ধামঘর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন ধামঘর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।

বক্তব্যে তিনি বলেন, ধামঘর ইউনিয়নে পরমতলা গ্রামের একটি সমিতির নাম ‘দানিক’। এ সমিতির পরিচালকগন গ্রাহকের ভয়ে এলাকায় আসতে পারতনা। তাদের অনুপস্থিতিতে গ্রাহকরাও টাকা পাচ্ছেনা। আমি গ্রাহক সমাবেশ ডেকে নিজ উদ্যোগে রুহুল আমিন খোকনসহ পরিচালনা পরিষদের লোকজনকে গ্রাহকদের মুখোমূখী করে টাকা পরিশোধের শর্তে এলাকায় থাকার সুযোগ দেই। গত কোরবানী ঈদের পর গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করার চুড়ান্ত সিদ্ধা হয়। মাসের পর মাস অতিবাহিত হতে থাকলেও গ্রাহকদের টাকা পরিশোধের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। উপরন্ত রুহুল আমিন খোকন ধামঘর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকের পদ সৃজন করে এলাকায় প্রভাব খাটাচ্ছে। আমার ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করি নাই বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি ওই এনজিও থেকে কথনো ঋণ নেইনি। দানিক’র সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততাও নেই।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, আমি ৩ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করি নাই, বিষয়টি মিথ্যা। ধামঘর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক খোকন নিজের প্রভাব বিস্তার করতে আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার করছে। খোকনের কারনে বিএনপি’র সুনামক্ষুন্ন হচ্ছে। আমি কায়কোবাদ দাদা ও মুরাদনগর বিএনপির নীতি নির্ধারকদের কাছে দাবি জানাই বিএনপি’র সম্মান রক্ষার্থে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হোকা।

এ বিষয়ে দানিক সমিতির পরিচালনা পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম ভুলু বলেন, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর উপজেলার গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সহস্রধিক অতিক্রম করে। তাদের টাকায় মৎস খামার, পরিবহন সেক্টর তৈরী, জমি বেচা কেনা, পোলট্রি ও ডেইরী ফার্মসহ নানামূখী প্রকল্পের কাজ শুরু করে। গ্রাহদের কাছেও প্রায় আড়াই কোটি টাকা আটকে যায়। ২০১৫ সাল থেকে ভাটার দিকে যেতে থাকে। গ্রাহরা টাকার জন্য অফিসে ভীড় করতে থাকে। এক পর্যায়ে অফিস বন্ধ করে অফিসের সাইনবোর্ড খুলে পালিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আবুল কাসেম, মোথলেস মীর, আবক্দুল হক মূন্সী, মো. এলাহী বক্স, সফিকুল ইসলাম, মোখলেসুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ ব্যাক্তিবর্গ। এছাড়াও দানিক সমিতির শতাধিক ভুক্তভোগী উপস্থিত ছিলেন।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, টাকা আত্মসাৎতের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top