শরিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
“সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা। জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্য নিয়ে গত ২০ আগস্ট মেলার উদ্বোধন করা হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকছে মেলাটি, চলবে আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত। গাছপ্রেমী ও ব্যবসায়ীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মেলাপ্রাঙ্গণ, যদিও মাঝেমধ্যে বর্ষণের কারণে ব্যাঘাত ঘটছে স্বাভাবিক কার্যক্রমে।
মেলার তৃতীয় দিনে, রবিবার (২৪ আগস্ট) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন নার্সারির উদ্যোক্তারা ফলজ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধক গাছের চারা নিয়ে অংশ নিয়েছেন। আম, লিচু, কাঁঠালসহ দেশি ফলগাছের পাশাপাশি রয়েছে দুষ্প্রাপ্য ও সৌন্দর্যবর্ধক নানা প্রজাতির গাছের সমাহার। ক্রেতাদের আগ্রহও লক্ষ্য করা গেছে।
সাতক্ষীরা নার্সারির স্বত্বাধিকারী মোঃ রুহুল কুদ্দুস জানান, “শুরুর দিকে ভিড় ভালো থাকলেও বৃষ্টির কারণে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে বিক্রিতে। জমজমাট হতো যদি বৃষ্টি না হতো।”
অন্যদিকে, জাহাঙ্গীর নার্সারির মালিক মোঃ আঃ রশিদ খা বলেন, “মেলা এখনও পুরোপুরি জমে না উঠলেও প্রতিদিন ভালো সংখ্যক গাছপ্রেমী আসছেন। সাধারণত শেষের দিকে বেচাকেনা বেশি হয়।”
এদিকে ফ্রেন্ডশিপ স্টলেরর প্রতিনিধি মো: আসাদুল হাসান বলেন, বাংলাদেশর উপকূলীয় এলাকায় নদীর চড়ে ম্যানগ্রোভ বনায়ন করা হচ্ছে, যাতে করে বাঁধ না ভাঙে,বেড়িবাঁধ রক্ষা,পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে, মানুষে জীবন জীবীকায়ন বৃদ্ধি পায় ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস হবে সে লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের এই সংকটকালে এমন উদ্যোগ সমাজে সচেতনতা ছড়াতে ও টেকসই ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে ফ্রেন্ডশিপ সংস্থা বৃক্ষমেলা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ছে।
মেলার অন্যতম আয়োজক ও তত্ত্বাবধায়ক, সাতক্ষীরা সামাজিক বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিএম মারুক বিল্লাহ বলেন, “এই মেলায় সুলভ মূল্যে ফলজ, বনজ ও ফুলের চারা বিক্রি করা হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষ সহজে গাছ সংগ্রহ করতে পারেন। গাছ শুধু পরিবেশ রক্ষায় নয়, আর্থিকভাবে সচ্ছলতাও এনে দিতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এমন উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
বৃষ্টির কিছুটা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও আয়োজক ও বিক্রেতারা আশাবাদী, মেলার শেষ দিকে বাড়বে ক্রেতা ও বিক্রির পরিমাণ।