মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘অতি-দরিদ্র পরিবারের গ্রাজুয়েশন উদযাপন’। সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের হলরুমে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন নীলফামারী এরিয়া কো-অর্ডিনেশন অফিসের সিনিয়র ম্যানেজার অনুকুল চন্দ্র বর্মণ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোছাদ্দিকুল আলম, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন এবং ওয়ার্ল্ড ভিশনের ইন্টেগ্রেটেড লাইভলীহুড টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার রুহুল আমীন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন গ্রাজুয়েশনে উন্নীত উপকারভোগী রেনু বেগম (পৌরসভা) ও শরিফা বেগম (টুপামারী ইউনিয়ন)। গ্রাজুয়েশন বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করেন ফিল্ড টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট সৈয়দ ছাগির আহমেদ।
ওয়ার্ল্ড ভিশনের তথ্য অনুযায়ী, নীলফামারী পৌরসভা, পলাশবাড়ি, টুপামারী ও খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের জীবনমান উন্নয়ন হওয়া ২৫৭ জন নারী এই গ্রাজুয়েশন উদযাপনে অংশ নেন। অনুষ্ঠান শেষে জেলা মডেল মসজিদ প্রাঙ্গণে নারিকেল গাছের চারা রোপণ এবং উপকারভোগীদের মাঝে চারা বিতরণ করা হয়।
অনুকুল চন্দ্র বর্মণ বলেন, “ওয়ার্ল্ড ভিশনের আলট্রা পুওর গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রামের আওতায় দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা ও সহায়তার ফলে এসব নারী এখন দারিদ্র সীমা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আমরা তাদের আত্মকর্মসংস্থানমূলক উদ্যোগে সহায়তা করছি এবং তাদের পরিবারগুলোর শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার বিষয়েও কাজ করছি।”
তিনি আরও জানান, ওয়ার্ল্ড ভিশন শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, বরং সামাজিক সচেতনতা, নেতৃত্ব বিকাশ, শিশু সুরক্ষা এবং পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনে উপকারভোগীদের পাশে থেকে কাজ করছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য অতিথিরা ওয়ার্ল্ড ভিশনের এ ধরনের উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।