খালিদ হোসেন হৃদয়, পাবনা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ সরকারের রেল আইন ভঙ্গ করে যুগের পর যুগ আওয়ামী সংসদের নামে রেলের জলাশয় বন্দোবস্ত দেওয়ায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে পাকশী রেলওয়ে কতৃপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে পাকশী রেল অঞ্চলের সহকারী ভু সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ মামুন অর রশীদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি লাহিড়ী মোহনপুর টু দিলপাশার স্টেশনের মধ্যবর্তী পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার মৌজার রেলসেতুর নিচের বিবাদমান জলাশয় পরিদর্শন করেন ।
এ সময় তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের কর্মরত কানুনগো মোঃ শরিফুল ইসলাম এবং পাকশী হেড কোয়াটারের অফিস সহকারী মোঃ আহসান হাবীব উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, কয়েক যুগ ধরে দিলপাশার রেলসেতুর নিচে সি এস-২৫ (টিপি নং-১৫৪/৫ থেকে ১৫৪/৬) দাগে ১ দশমিক ৫২ (১.৫২) শতাংশ জলাশয় যাহার আরএস দাগ নং ১১০৬ মৎস্য আহরণের জন্য রেল আইন ভঙ্গ করে আওয়ামী সংসদ সদস্য মির্জা আব্দুল লতিফ বরাদ্দ নিয়ে আসছিল ।
তার অবর্তমানে তার ভাতিজা সুচতুর, দুর্নীতিবাজ যিনি পল্লী বিদ্যুতে ডিজিএম পদে আছে মির্জা কে. ই তুহিন ভোগ দখলে করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে কমিটির আহবায়ক সহকারী ভু সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ মামুন অর রশীদে জানান ,
(১)রেলওয়ে আইনে কোন মৃত ব্যক্তির নামে বরাদ্দ নেওয়া আইনত দণ্ডনীয়। এটা কোন উত্তরাধিকার সম্পত্তি নয় যে একজনের নামে বরাদ্দ নিয়ে উত্তরাধিকারগণ ভোগ দখল করবে । এটা যিনি করেছেন তাকে আইনের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
(২) প্রাক্তন আওয়ামী সংসদ সদস্যের রেলওয়ে বিধিমালা অনুযায়ী উক্ত জলাশয়ের পাশে কোন জমি পাওয়া যায়নি। যেটা অনিয়মভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
(৩) প্রাক্তন সংসদ সদস্য সিরাজগঞ্জের আসনের এমপি ও বাসিন্দা হলেও কেন পাবনা জেলার জমি বরাদ্দ নিল বিষয়টি পরিষ্কার নয়।
(৪) রেলওয়ে আইনে টেন্ডার ছাড়া একই জমি বছরে পর বছর লিজ দেওয়ার নিয়ম নাই।
তিনি আরো জানান, আমরা খুব শীঘ্রই তদন্ত রিপোর্ট দেব, আশা করি উভয়পক্ষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে। এবং যারা না জেনে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন তাদের কে রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিধিমালা ২০২০ ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে দেখতে বলেছেন ।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহা- পরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।