২৭শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সখীপুর-সাগরদীঘি ও কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়ক: জনদুর্ভোগের দ্বৈত চিত্র

মনির হোসেন সখিপুর (টাংগাইল) প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর-সাগরদীঘি এবং কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়ক বর্তমানে জনজীবনের জন্য অভিশাপ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এই দুটি সড়কের অবস্থাই ভয়াবহ। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে খানাখন্দে ভরা রাস্তাগুলো হয়ে ওঠে মৃত্যুফাঁদ। প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে, আর সাধারণ মানুষ পড়ছে চরম বিপদে।

সখীপুর-সাগরদীঘি সড়ক
সখীপুর থেকে সাগরদীঘি পর্যন্ত সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য বাস, ট্রাক, অটোরিকশা, সিএনজি, বাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। অথচ সড়কটির অধিকাংশ অংশই এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ী, রোগী — সবাই পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।তাছাড়াও বড়চওনা হতে কচুয়া পর্যন্ত রাস্তার নির্মান কাজ শুরু হলেও দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় জনদূর্ভোগ আীও চরমে পৌঁছে গিয়েছে।

সড়কটির ধারণক্ষমতা চেয়ে বেশি ওজনের ইট, পাথর ও বড় ট্রাক চলাচল করায় রাস্তাটি আরও দ্রুত ভেঙে পড়ছে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সখীপুর সরকারি কলেজ, বি.এ.এফ শাহীন কলেজ এবং মহিলা অনার্স কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই রাস্তায় চলতে গিয়ে সময় ও জীবনের ঝুঁকিতে পড়ছেন।

কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়ক
অপরদিকে, কচুয়া থেকে আড়াইপাড়া পর্যন্ত সড়কের অবস্থাও একইরকম দুর্দশাগ্রস্ত। সড়কের বেশিরভাগ অংশে পিচ উঠে গেছে, কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকে। যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাও কঠিন হয়ে পড়েছে। কৃষিপণ্য পরিবহন, স্কুল-কলেজ যাতায়াত, রোগীবহন — সবই ব্যাহত হচ্ছে এই সড়কে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কচুয়া বাজার থেকে আড়াইপাড়া পর্যন্ত প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করে। কিন্তু সড়কের বেহাল দশার কারণে এখন আর সহজে কেউ এই পথ ব্যবহার করতে চায় না। বিশেষ করে রাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

দ্রুত সংস্কারের দাবি
দুইটি সড়কই গুরুত্বপূর্ণ এবং জনসাধারণের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।

জনগণের দাবি, আর বিলম্ব না করে দ্রুত সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করা হোক। না হলে এই দুটি সড়কই আরও বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে, যার মাশুল দিতে হবে সাধারণ মানুষকে।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top