নিজস্ব প্রতিনিধি:
রুমমেটকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী জালাল আহমদ জালালকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই আদেশ দেন।
এ ঘটনায় জালালের পাশে দাঁড়িয়েছেন ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়কার সহযোদ্ধা ও গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি জালালের অতীত সংগ্রামী ভূমিকার কথা স্মরণ করে বলেন, “২০১৮ সালে আমরা গ্রেফতার হলে জালাল নতুনভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের মুক্তির জন্য তিনি আমার মাকে সঙ্গে নিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার মঈনূল হোসেনের কাছে গিয়েছিলেন।”
রাশেদ খান আরও উল্লেখ করেন যে ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে আখতার হোসেন গ্রেফতার হলে জালাল আবারও তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি জানান, আখতার হোসেনের সহধর্মিণী সানজিদা আখতার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন যে নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় জালাল তাদের পরিবারের পাশে থাকাসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছেন।
মহসীন হলের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গে রাশেদ প্রশ্ন তোলেন যে এটি কি দুইজনের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, নাকি অন্য কোনো বিষয়। তার মতে, তদন্ত ছাড়া জালালের ভিপি প্রার্থিতা বাতিল করা উচিত নয়। তিনি সমালোচনা করে বলেন, “গতকাল কেন পুলিশের উপস্থিতিতে তার ওপর মব সৃষ্টি করা হলো? সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করতে পারতো। কিন্তু যেভাবে তার উপর মব সৃষ্টি করা হয়েছে, তা নিন্দনীয়।”
রাশেদ খান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, “জালালের সংগ্রাম সম্পর্কে জানুন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত করুন। দোষী হলে শাস্তি দিন, কিন্তু ছাত্রত্ব বাতিল করবেন না।” তিনি দাবি করেন যে জালাল গুমের শিকার হয়ে জিহ্বায় ইলেকট্রনিক শকের কারণে মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।