মোঃ শহিদুল ইসলাম পিয়ারুল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকের ধৈর্য্য, সততা ও আদর্শতার উপর ভর করে তাঁর অনুপ্রেরণায় সমাজে ঘটে পরিবর্তন। কিন্তু ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক স্কুল প্রধান শিক্ষকের একি কান্ড! যা রীতিমতো আর্শ্চযের বিষয়। এক বিধবা মহিলার ক্ষেতের ফসল কেঁটে বিনষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে শিক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। তিনি নান্দাইল উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চর উত্তরবন্দ গ্রামের মৃত রোপ্তন আলীর পুত্র।
স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এদিকে বিধবা মহিলা রোকেয়া আক্তার সম্পর্কে শিক্ষকের ভাই বৌ। তবে অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক রুহুল আমিন সম্পত্তি কম পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ওই বিধবা মহিলার স্বত্ব দখলীয় জমিতে রোপন করা ধানের চারা গাছ কেটে ফসল বিনষ্ট করেছে।
শুধু তাই নয়, এরপূর্বেও একাধিকবার বিধবার জমিতে আবাদকৃত লাউ, করলা সহ অন্যান্য ফসল বিনষ্ট করেছে বলে জানিয়েছেন রোকেয়া আক্তার। কিন্তু এসব কথা অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক রহুল আমিন জানান, তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তির বন্টনে তাকে ঠকানো হয়েছে। এ বিষয়ে একাধিকবার দরবার-সালিশ হলেও এর কোন সুরাহা হয়নি।
সরজমিন পরির্দশনে জানাগেছে, চর উত্তরবন্দ গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের স্ত্রী বিধবা রোকেয়া আক্তারের সাথে বিগত ৫ বছর ধরে রুহুল আমিন মাস্টারের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। ওই জমির এক অংশে ধান গাছের চারা কেটে নেওয়া হয়েছে। গাছের গুড়িগুলো পড়ে আছে।
নিরীহ মহিলা রোকেয়া আক্তার জানান, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে তিনি তাঁর ২০ শতক জমিতে রোপন করা ধান ক্ষেত দেখতে যান। এসময় তিনি ওই ক্ষেতে শিক্ষক রুহুল আমিন ও শিক্ষকের দুই পুত্র ইমরান এবং রিফাদকে ধানের চারাগাছ ছিড়তে ও কাঁটতে দেখতে পেয়ে বাধা প্রধান করেন। ফসল বিনষ্ট করার দৃশ্য দেখে ওই বিধবা চিৎকার শুরু করলে শিক্ষক সহ তাঁর পুত্ররা চারাগাছগুলো বস্তায় ভরে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কলিল মিয়া, কুলসুম আক্তার, হেলিম উদ্দিন, কাজল মিয়া, মোসলেম উদ্দিন সহ আরও অনেকেই জানান, রহুল আমিন মাস্টার তাঁর আপন ভাইদের সাথে জমিসংক্রান্ত বিরোধ আছে। তবে একজন মানুষ গড়ার কারিগর হয়ে, অমানুষের মতো কাজ করেছেন। জমির ভাগ থাকলে অবশ্যই তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতেন, তবে ফসল বিনষ্ট করা তা ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে রোকেয়া আক্তার বলেন, “রুহুল আমিন মাস্টার যদি ভালোই হতো, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে কেন ? আমার স্বামী মারা যাওয়ায় জোরপূর্বক জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন মাস্টার এ অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, তাঁকে পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঠঁকানো হয়েছে। এছাড়া ওই জমির বিষয়ে তিনি জিডি করেছেন। পরিশেষে সংবাদটি প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।