মোঃ হাচান আল মামুন, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
বাংলা বর্ষপঞ্জির ভাদ্রের শেষ আর আশ্বিনের শুরুতে প্রকৃতিতে নেমে এসেছে শরতের আবেশ। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় এখন পাহাড়, আকাশ আর কাশফুল মিলে সৃষ্টি করেছে অনন্য সৌন্দর্যের দৃশ্যপট। নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো তুলোর মতো মেঘ আর পাহাড়ের ঢালে দুলতে থাকা সাদা কাশফুল যেন শরতের আগমনকে বরণ করে নিচ্ছে।
দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের রথীচন্দ্র কার্বারী পাড়া বর্তমানে ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম আকর্ষণ। দীঘিনালা থেকে সড়ক পথে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে আটমাইল এলাকায় সামান্য হাঁটলেই চোখে পড়ে বিস্তীর্ণ কাশবন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে প্রতিদিনই ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে উপভোগ করছেন শরতের অনন্য রূপ।
দর্শনার্থীরা জানাচ্ছেন, পাহাড়, আকাশ আর কাশফুলের মিলনমেলা তাদের মনে আনছে এক অন্য রকম প্রশান্তি। এ সৌন্দর্যের মাঝে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত তারা স্মৃতির অ্যালবামে ধরে রাখছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, ভাদ্রের তীব্র গরম শেষে শরতের শুরুতেই কাশফুল দীঘিনালার পাহাড়ি জনপদকে দিয়েছে নতুন সাজ। প্রতিদিনই এ দৃশ্য দেখতে ভিড় বাড়ছে প্রকৃতিপ্রেমীদের।
ভ্রমণপিপাসু মোঃ শামীম বলেন, “কাশবন, পাহাড় আর আকাশ মিলেমিশে যে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য তৈরি করেছে তা ভাষায় প্রকাশের নয়। এখানে এসে এক ধরনের প্রশান্তি পাচ্ছি।”
আরেক দর্শনার্থী কুহেলিকা ত্রিপুরা জানান, “পাহাড়ের মাঝে কাশফুল আর নীল আকাশের মিশ্রণে যে অপূর্ব সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়েছে, তা সত্যিই নস্টালজিক। বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলে আনন্দঘন সময় কাটাচ্ছি।”
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান বলেন, “কাশবনের সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ। এ ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানগুলোকে যদি পর্যটনবান্ধব করা যায়, তবে দীঘিনালা ভ্রমণপিপাসুদের কাছে হবে এক আকর্ষণীয় গন্তব্য।”
শরৎ মানেই কাশফুল। সেই কাশফুলে এখন দীঘিনালার পাহাড়ি জনপদ সেজেছে শুভ্রতায়। খাগড়াছড়ির সড়কের দুই ধারে দুলতে থাকা কাশফুল আগত ভ্রমণকারীদের জানাচ্ছে অভিবাদন।