মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত শ্রমিক আহসান হাবিবের পরিবারের জন্য কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ দাবিসহ পাঁচ দফা নিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টায় নীলফামারী প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
দাবিগুলো হলো— নিহত শ্রমিকের পরিবারের জন্য ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান, উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় এনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন, দেশের সব শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন ও সভা-সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করা, শ্রমিক ছাঁটাই, চাকরিচ্যুতি, কালো তালিকাভুক্তি ও রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন বন্ধ করাসহ পোশাক শ্রমিকদের জন্য স্বল্পমূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হলেও এখানে কর্মরত শ্রমিকরা ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত। শ্রমিকরা অধিকার আদায়ের চেষ্টা করলেই তাদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়। সাম্প্রতিক উত্তরা ইপিজেডের ঘটনাই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোসরেফা মিশু, এসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন জোটের সদস্য সচিব রাজু আহমেদ।
এ সময় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অসংখ্য সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের নেতারা আরও জানান, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য গড়ে ওঠা এই আন্দোলনকে দেশব্যাপী ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে ইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চলগুলোতে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।