মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে হামলার ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন জেলার সকল প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলার ছয় উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তারা সদর উপজেলা চত্বরে কর্মবিরতি পালন করেন।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের স্বীকৃতির কাজে জেলা অফিসে গেলে বহিরাগতদের হামলার শিকার হন অন্য উপজেলা থেকে আগত কর্মকর্তারা। অভিযোগ উঠেছে, অফিস সহায়ক সুমি আক্তার কল্পনার নেতৃত্বে কয়েকজন বহিরাগত এ হামলায় জড়িত ছিলেন।
ঘটনার প্রতিবাদে জেলা শিক্ষা অফিস চত্বরে ব্যানার টানিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা দাবি জানান—অবৈধভাবে নির্মিত টিনশেড ঘর উচ্ছেদ, সুমি আক্তার কল্পনাকে অপসারণ, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।
এ ঘটনায় নীলফামারীর শিক্ষা প্রশাসনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিভিন্ন মহল নিন্দা জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে।নীলফামারী সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক অভিযোগে জানান, জেলা অফিসের কর্মকর্তারা শিক্ষক বদলি, প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দসহ নানা খাতে অনিয়মে জড়িত।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত সুমি আক্তার কল্পনা শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ গাছির ছত্রছায়ায় থেকে কর্মকর্তাদের হুমকি-ধামকি দেন এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করেন, যার ফলে সাধারণ শিক্ষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ গাছি বলেন, “পূর্বের শিক্ষা কর্মকর্তা নবেছউদ্দিন কার্যালয় চত্বরে টিনশেড ঘর নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলেন। সুমি আক্তার কল্পনার নামে আনা অভিযোগ তদন্তসাপেক্ষে সত্যতা প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”