নিজস্ব প্রতিনিধি:
‘প্রতিটি টুর্নামেন্ট এলেই ক্যালকুলেটর হাতে নিতে হয়’—শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর থেকেই এমন কৌতুক ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কৌতুক একপাশে রেখে বলা যায়, বাংলাদেশের জন্য সুপার ফোরে ওঠার সমীকরণ শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগেই নির্ধারিত ছিল। প্রথম ধাপ ছিল আফগানিস্তানকে হারানো, যা লিটন দাসরা ইতোমধ্যে করে ফেলেছেন। তবে এখানেই শেষ নয়, এবার ভাগ্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে এবং শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের ফলাফলের অপেক্ষায় থাকতে হবে।
তানজিদ হাসান তামিম ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গ উঠলে মৃদু হেসে জানান, তিনি এখনো হিসাব দেখেননি। ধারাভাষ্যকার রাসেল আরনল্ড ম্যাচ শেষে জানান, আফগানিস্তান যদি জেতে, তবুও বাংলাদেশের আশা বেঁচে থাকবে—তবে শর্ত হলো আফগানদের অন্তত ৭০ রানে জিততে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ বি গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, চার পয়েন্ট নিয়ে। কিন্তু শীর্ষ তিন দলের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ নেট রান রেট বাংলাদেশের, যা -০.২৭০। শীর্ষে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, তাদের পয়েন্ট ৪ এবং নেট রান রেট ১.৫৪৬। আফগানিস্তানের পয়েন্ট ২ হলেও হংকংয়ের বিপক্ষে বড় জয়ের কারণে তাদের নেট রান রেট এখনো ২.১৫০।
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে সহজ সমীকরণ হলো শ্রীলঙ্কার জয়। তাতে শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট হবে ৬, বাংলাদেশ থাকবে ৪-এ এবং আফগানিস্তান থাকবে ২-এ। ফলে বাংলাদেশ সরাসরি সুপার ফোরে জায়গা করে নেবে।
কিন্তু আফগানরা যদি শ্রীলঙ্কাকে হারায়, তখন সমীকরণ আরও জটিল হয়ে যাবে। বাংলাদেশের জন্য তখন আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে আফগানিস্তানকে অন্তত ৬৫ রানে জয় পেতে হবে। রান তাড়া করতে হলে তাদের জিততে হবে অন্তত ৫০ বল হাতে রেখে। কম ব্যবধানের জয় হলে বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের নেট রান রেটের বর্তমান দুরবস্থার পেছনে কিছু ভুল সিদ্ধান্তও দায়ী। হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ ১৫ ওভারের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হলেও সেটি গড়িমসি করে ১৭.৪ ওভারে শেষ করেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩৯ রানের লক্ষ্য তারা ১৪.৪ ওভারে তাড়া করে ফেলায় নেট রান রেট আরও খারাপ হয়ে যায়।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জিতলেও শেষ দিকে রান আউটের সুযোগ নষ্ট এবং তাসকিন আহমেদের ব্যয়বহুল ওভার জয়ের ব্যবধান ছোট করে দেয়। ফলে নেট রান রেট ইতিবাচক হতে পারেনি। এই নেট রান রেটই যদি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদায়ের কারণ হয়, তবে আফসোসের শেষ থাকবে না।