নিজস্ব প্রতিনিধি:
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বুধবার দুপুরে তিনি ট্রাইব্যুনালে এসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাক্ষ্য দিতে যান।
এর আগে নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, দুই দিনের মধ্যেই তার সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হবে। মঙ্গলবার তার সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও একই মামলায় দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীর জেরা শেষ না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। বুধবার মাহমুদুর রহমানের জবানবন্দি ও দুই দিনব্যাপী জেরা শেষ হওয়ার পর প্রসিকিউশন পক্ষ জানায়, সেদিনই নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এবং নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়েই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অধ্যায় শেষ হবে।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাটি বর্তমানে বিচারকার্যের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের আন্দোলনে দেশজুড়ে চালানো হত্যাযজ্ঞের বীভৎস চিত্র উঠে এসেছে। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। প্রসিকিউশন পক্ষ তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকা দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। মামলায় সাক্ষী রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।