নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিএনপির পদ স্থগিত হওয়া নেতা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান আসন্ন ফেব্রুয়ারি মাসে নির্ধারিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গভীর সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাঁর ভাষায়, “ফেব্রুয়ারি মাসে ইলেকশন হবে—এটা আমি নব্বই পার্সেন্ট বিশ্বাস করি না, যদিও আমার দল বিশ্বাস করে। আমার মনে হয় না যে ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন হবে। আর ইউনূস সরকারের অধীনে কোনো ইলেকশন হোক, এটা আমি চাই না।”
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, এই নির্বাচন হলেও তা আগের মতো সাজানো হবে। তাঁর ভাষায়, “ডাকসু নির্বাচনে যেমন ডাইস বানানো হয়েছিল, তেমনি জামায়াতের পক্ষে আগেই খেলার মাঠ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই সেই প্রস্তুতি রয়েছে।”
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে ফজলুর রহমান অভিযোগ করেন, “ইউনূসের একটা রাজনৈতিক দল আছে। মাথায় হাত দিয়ে বলে, ‘তুই হবি প্রধানমন্ত্রী।’ যে মেম্বার হতে পারে না, তাকেই প্রধানমন্ত্রী বানায় ইউনূস। তবে সরাসরি ইউনূস নয়, তাঁর আশেপাশের লোকজনই এসব করছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, ইউনূস সরকারের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম নাহিদ ইসলামকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, “আগেই প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে রাখা হয়েছে।”
জামায়াতের সঙ্গে ড. ইউনূসের সম্পর্ক নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, “ইউনূসের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক হলো রাতের সম্পর্ক। দিনের বেলা এক ছবি, রাতে আরেক ছবি। এ ধরনের সম্পর্ক দেশের জন্য ভালো নয়। তারেক রহমানও দেখবেন, ইউনূস হলো দিনের বন্ধু, আর জামায়াতের শফিকুর রহমান হলো রাতের বন্ধু। রাতের বন্ধুর প্রতি মায়া বড় বেশি।”
তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “আমি ইউনূসের অধীনে কোনো নির্বাচন চাই না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হতে হবে তিন মাসের জন্য। সেই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আইন অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। ওই সরকার উপদেষ্টাদের সঙ্গে নিয়ে ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করবে।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের মতে, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।