নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজধানীর তুরাগ থেকে নিখোঁজের ১০৪ ঘণ্টা পর পূর্বাচল থেকে উদ্ধার করা হলো জুলাই যোদ্ধা মাওলানা মামুনুর রশীদকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি জানান, কীভাবে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছিল।
মাওলানা মামুন বলেন, প্রতিদিনের মতো সেদিনও ফজরের নামাজের পর হাঁটতে বের হয়েছিলেন। এ সময় রিকশায় থাকা তিনজন তাকে ডেকে বলে, তারা প্রতিদিন কাঁচাবাজারে গিয়ে চাঁদাবাজির শিকার হন এবং তাকে সঙ্গে যেতে অনুরোধ করে। প্রথমে রাজি না হলেও অনুরোধের চাপে তিনি রাজি হয়ে যান। কামারপাড়া স্ট্যান্ড পার হওয়ার আগে তারা রিকশা ভাড়া পরিশোধ করে। কাঁচাবাজারের সামনে রিকশা থামতেই একটি হাইস মাইক্রোবাস আসে। ভেতরে তিনজন এবং বাইরে থাকা তিনজন মিলে জোর করে তাকে মাইক্রোবাসে তোলে। এরপর তাকে সাব্বির নামের একজনের ছবি দেখানো হয়। তিনি ছবিটি চেনেন বলে জানানোর পরপরই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তার ধারণা, চেতনা নাশক কিছু ব্যবহার করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, পুরো সময় তাকে একটি চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। কখন ঘুমিয়েছেন বা কখন জেগেছেন কিছুই মনে নেই। হঠাৎ কয়েকজন মুখে পানি ছিটালে জ্ঞান ফিরে আসে। তখন নিজেকে পূর্বাচলের একটি মসজিদের কাছে দেখতে পান।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগের হানিফ আলী মোড়ের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন মাওলানা মামুনুর রশীদ। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর তাকে পূর্বাচল শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের পাশে নির্জন এলাকায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ১ নম্বর সেক্টরের মসজিদে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উত্তরার চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মাওলানা মামুন তুরাগ থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে উত্তরার রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী খাদিজা বেগম গত ২২ সেপ্টেম্বর তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।