রিফাজ বিশ্বাস লালন, ঈশ্বরদী প্রতিনিধি:
শিক্ষিত বেকারদের আশার আলো যুব উন্নয়নের “ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ” প্রকল্প — ৪৮ জেলায় আবেদন লক্ষাধিক! যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “দেশের ৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দেশের তরুণ-তরুণীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলে আত্মকর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০২৫ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ৩টি ব্যাচে ৭২০০ জন যুব ও যুব মহিলা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে ৬২ শতাংশের অধিক সরাসরি আয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে এবং উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে। বাকি প্রশিক্ষণার্থীদের আয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে ভার্চুয়াল মেন্টরিং ক্লাস চলমান রয়েছে। উদ্যোক্তাগণ এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় করেছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি টাকা। এ আয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রকল্পটি ইতোমধ্যেই দেশের যুব সমাজের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এর ধারাবাহিকতায় ৪র্থ ব্যাচের (অক্টোবর–ডিসেম্বর ২০২৫) জন্য ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে লক্ষাধিক আবেদন জমা পড়ে। প্রতি জেলায় ৭৫টি আসন বরাদ্দে মোট ৪৮ জেলায় ৩৬০০ জন প্রশিক্ষণার্থী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সকল জেলায় একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।পাবনা জেলায় পরীক্ষা তদারকি করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আমিরুল ইসলাম (প্রশাসন), ঢাকা, উপপরিচালক জনাব স্বপন কুমার কর্মকার, সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ তরিকুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক জনাব আবু হানিফ মিয়া।
পাশাপাশি পাবনা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সুবীর নন্দী সরকার নয়ন উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, শুধু পাবনা জেলাতেই ৭৩৬ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষাসহ চূড়ান্ত ফলাফল এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে এবং ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে ক্লাস শুরু হবে।
এর আগে পাবনা জেলায় ৩টি ব্যাচে মোট ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে, যাদের ৭২ শতাংশ ইতোমধ্যেই আয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং আয় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিটি প্রশিক্ষণার্থী দৈনিক ২০০ টাকা হারে যাতায়াত ভাতা, সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকালের নাস্তা এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ উপকরণ পাবেন।
দেশের স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান ‘ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড’ প্রকল্পটির প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।