জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায়, চলছে মা-ইলিশ শিকারের মহোৎসব। প্রজনন মৌসুমে অভিযান থাকলেও পায়রা, পাতাবুনিয়া, লোহালিয়া, পানডপ, নদীতে দিন-রাত সমান তালে চলছে অবাধে ডিম ওয়ালা মা ইলিশ শিকার।
জনবল ও যানবাহন সংকটে প্রশাসনের অভিযানে গতি কম থাকায় সুযোগ নিচ্ছেন নতুন পুরাতন জেলেরা। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়হীনতায় অনেক জেলে পরিবারে শিশু-কিশোরদের দিয়েই নদীতে নামছে ইলিশ শিকারে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, উপজেলার পাংগাশিয়া, আঙ্গারিয়া, লেবুখালী অভিযান দেখা মাত্রই মোবাইল ফোনে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দ্রুত নদীর অপর তীরের বাউফল, মির্জাগঞ্জ ও বাকেরগঞ্জের ঝোপ-ঝাড় ও খালে লুকিয়ে পড়ে জেলেরা। অভিযান শেষে ফের জাল ফেলে রাতভর চলে ইলিশ আহরণ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এসব ধরা ইলিশ প্রকাশ্যে বিক্রি না করে গোপনে পাইকারদের কাছে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার হাজিরহাট, লেবুখালী ফেরিঘাট, আঙ্গারিয়া বন্দর ও পাতাবুনিয়া বাজারসহ অন্তত: ১১টি ঘাটে ককশেডে ইলিশ মজুত রাখছে পাইকাররা।আঙ্গারিয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান সোহরাব বলেন, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে মা-ইলিশ শিকার বন্ধ করা যাচ্ছে না।
মৌসুমি জেলেরা নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করছে না বলেও জানান তিনি।উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৪ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযানে ৪টি নৌকা ও ১ লাখ ৯০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। আটক ৫ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং এক কিশোরকে মুচলেকায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার দায়িত্বরত মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, জনবল ও দ্রুতযান সংকট সত্ত্বেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. এজাজুল হক বলেন, নদীতে অভিযান চালানো হলেও জেলেরা কৌশলে পালিয়ে যায়। তারপরও পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। স্থানীয়দের সহযোগিতা পেলে শতভাগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।।