শরিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় শহরের খুলনা রোড মোড়স্থ আসিফ চত্ত্বর এলাকা ও শহীদ আব্দুর রাজ্জাকা পার্ক থেকে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী সহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক জনাব মোস্তাক আহমেদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন,জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা নায়েবে আমীর ডা.মাহামুদুল হক, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ওমর ফারুক, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এড.আব্দুস সুবহান মুকুল, শহর আমীর জাহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, সদর উপজেলা নায়েবে আমীর আলহাজ্ব মাস্টার হাবিবুর রহমান, সদর সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান,দেবহাটা সেক্রেটারী ইমদাদুল হক প্রমুখ।
জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আন্দোলনের ৫ দফা গণদাবি জানিয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, বিগত সরকার স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী পদক্ষেপের মাধ্যমে সংবিধান, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসহ রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিকরণ করে ধ্বংস করেছে।
হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতা—কর্মীর উপর জুলুম—নির্যাতন, মামলা—হামলা, গুম ও খুনের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক কণ্ঠরোধের চেষ্টা চালানো হয়েছে। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল এসব অবৈধ কার্যক্রমে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে জুলাই—আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র—জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এ কারণে জনগণ তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল।
জামায়াতের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা ২. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা ৩. অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা ৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম নির্যাতন গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা ৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।