মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ী জেলার সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকগণ ক্লাস, পরীক্ষা, অফিস কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলা সদর, গোয়ালন্দ বালিয়াকান্দি, কালুখালী, পাংশা উপজেলার স্কুল ও মাদ্রাসা সূমহে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালন করতে দেখা যায়।
দাবীর মধ্যে রয়েছে মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাতা প্রদান, শিক্ষক ও কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকায় উন্নীত করা, কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা। সেই সাথে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে তারা কর্মসূচি পালন করছে বলে জানান শিক্ষক নেতারা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শর্মি আফরিন সাদিয়া জানায়, শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে ক্লাস বন্ধ রয়েছে। এ কারণে লেখাপড়ায় চরম বিঘ্ন ঘটছে। ক্লাস-পরীক্ষা চালু রেখে ভিন্নধর্মী আন্দোলন করলে লেখাপড়ার ক্ষতি হয় না। আর সরকারকে শিক্ষকদের দাবী বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ করছি।
নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অর্শা আফরিন জানায়, বার বার আন্দোলন সহ বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে ক্লাস বন্ধ হয়। গত বছরও একাধারে ক্লাস হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে লেখাপড়ায় চরম প্রভাব পড়বে। আমরা নিয়মিত ক্লাস চালু রেখে ব্যতিক্রমী কর্মসূচি যেমন কালো ব্যাচ ধারণ সহ যাতে পড়ালেখার সমস্যা না হয়, এধরণের কর্মসূচি নিলে সমস্যা নেই।
বালিয়াকান্দির নারুয়া মুন্সি ইয়ার উদ্দিন আহম্মেদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, সারাদেশের ন্যায় আমরাও কর্মবিরতি পালন করছি। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় সমস্যা হলেও আমরা তাদের পুষিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিবো।
উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পাংশা মহিলা কলেজের অধ্যপক এম এ জিন্নাহ বলেন, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশের ন্যাক্কার জনক হামলার প্রতিবাদে তারা ক্লাস ও অফিস কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। একই সঙ্গে তারা দাবিগুলো বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
পাংশা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ বি এম ওয়াহেদুজ্জান ডাবলু বলেন, রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে কয়েকজন শিক্ষক আহত হন এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়। এরই প্রতিবাদে আমরা কর্মবিরতিতে আছি।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তিন দফা দাবি তুলে ধরেছেন, মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাতা প্রদান, শিক্ষক ও কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকায় উন্নীত করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা।
পুলিশি হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার থেকে সারাদেশের সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা