আদিব হাসান প্রান্ত, সিকৃবি প্রতিনিধি:
দীর্ঘ সময় ধরে চলমান লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রতিদিন অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রম, গবেষণা কাজ ও আবাসিক জীবনে নেমে এসেছে এক ধরনের স্থবিরতা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় পরীক্ষা প্রায় সারা বছরই লেগে থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় অনলাইন-অফলাইন ক্লাস, পরীক্ষা ও গবেষণা তথ্য বিশ্লেষণে সমস্যা হচ্ছে। মাঝে মাঝে পানির সংকটও দেখা দিচ্ছে, ফলে শিক্ষার্থীরা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে।
এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। পড়াশোনার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে গরমে ঘুমানো যায় না, আবার পড়াশোনাও চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল চলছে। এই সময়ে প্রতিদিন পড়াশোনার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বিদ্যুৎ চলে যায়। একদিকে গরম, অন্যদিকে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শিট ফটোকপি করার জন্য দোকানগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতের অপেক্ষায় বসে থাকতে হচ্ছে।”
এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিকল্প সমাধান হিসেবে ‘ডুয়েল সংযোগ’ (দ্বৈত বিদ্যুৎ সংযোগ) নেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে ভাবছে। এতে জাতীয় গ্রিডের পাশাপাশি বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন যুক্ত করা সম্ভব হবে, যা ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার সময়ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শাখার প্রধান প্রকৌশলী ড. রাশেদ আল মামুন বলেন, “বিদ্যুৎ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য খুব শিগগিরই আমরা দ্বৈত লাইনের উদ্যোগ নেব। এতে জাতীয় গ্রিডের পাশাপাশি বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন যুক্ত করা হবে। তাছাড়া অস্থায়ী সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।”
দীর্ঘস্থায়ী এই বিদ্যুৎ সংকটে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষার্থীরা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যুৎ বিভাগকে আহ্বান জানিয়েছেন।