সজীব হাসান, (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের উত্তর সাহাপাড়া এলাকায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত গৃহবধূর নাম খালেদা আক্তার (৪৫)।
তিনি স্থানীয় চা বিক্রেতা মিলন ফকিরের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে খালেদা আক্তার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে নানা আলোচনা শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে শেরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মিলন ফকিরকে থানায় নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রাথমিকভাবে সন্দেহজনক কিছু না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানায়।
নিহতের মেয়ে মিনা খাতুন বলেন, “মা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। শনিবার রাতে শরীর খারাপের কথা বলেন। সকালে অবস্থার অবনতি হলে বাবা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন, পথেই মা মারা যান।
এটি সম্পূর্ণ অসুস্থতা-জনিত মৃত্যু।বঅন্যদিকে নিহতের ভাই আশরাফুল মণ্ডল জানান রাতেই বোন অসুস্থতার কথা জানিয়েছিল। সকালে এসে দেখি সব শেষ। আমরা মনে করি, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু।
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম জানান প্রাথমিক তদন্তে খালেদা আক্তারের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।