২৮শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিতে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করল খাদ্য মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিনিধি:

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিতে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত দাম বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চুক্তির কারণে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের গম কিনছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতার সঙ্গে অসঙ্গত। প্রতিবেদনে সরকার থেকে সরকার (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে গম আমদানির প্রক্রিয়া নিয়ে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে মন্ত্রণালয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম আমদানি করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম প্রতি টন ৩০২.৭৫ মার্কিন ডলারে এবং দ্বিতীয় ধাপে একই পরিমাণ গম প্রতি টন ৩০৮ ডলারে ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের গমের দামের সঙ্গে রাশিয়ার গমের দামের তুলনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের গমের দামে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে পৌঁছানো পর্যন্ত সব ব্যয়—যেমন পরিবহন, বীমা, আনলোডিং ও অন্যান্য খরচ—অন্তর্ভুক্ত থাকে। অন্যদিকে রাশিয়ার দামে কেবল দেশটির বন্দর পর্যন্ত খরচ হিসেব করা হয়।

বাস্তব তথ্যে দেখা যায়, বর্তমানে রাশিয়ার গমের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রতি মেট্রিক টন প্রায় ২৩০ মার্কিন ডলার, আর যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম ২৩২ ডলার—অর্থাৎ পার্থক্য মাত্র ২ ডলার। মানের দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের গম উন্নত, যেখানে প্রোটিনের পরিমাণ ১৩.৫ শতাংশ, আর রাশিয়ার গমে গড়ে ১১ শতাংশ।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উন্নতমান, পুষ্টিগুণ এবং আন্তর্জাতিক পরিবহন ব্যয় বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম কিছুটা বেশি হওয়া যৌক্তিক ও বাজারসম্মত। পুরো আমদানির প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক এবং সরকার অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সম্পন্ন হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top