মোঃদিদার উদ্দিন, হাতিয়া উপজেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নে নিজস্ব অর্থায়নে একটি নতুন কাঠের সেতু নির্মাণ ও একটি পুরনো সেতু সংস্কার করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজীব। এতে মৌলভী ও আলামিন গ্রামের প্রায় ৬ হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের যাতায়াত দুর্ভোগের অবসান ঘটেছে।
তিনি আরো আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি নোয়াখালী (৬) হাতিয়া মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি এমপি হলে এখানে দুইপাশের জনগণের যাতায়াতের জন্য ব্রিজ করে দিবেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে সেতু দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
নির্মিত কাঠের সেতুটি চানন্দী বাজারসংলগ্ন মৌলভী গ্রামে এবং সংস্কারকৃত সেতুটি আলামিন গ্রামে অবস্থিত।
প্রতিটি সেতুর দৈর্ঘ্য ৬০ থেকে ৭০ ফুট এবং প্রস্থ ৭ ফুট। নতুন সেতুর মাধ্যমে সহজে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত রিকশা, পণ্যবাহী যানবাহন ও পথচারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। সেতু নির্মাণে ইট-সিমেন্টের পিলার এবং কাঠের ফালি বা তক্তা ব্যবহার করা হয়েছে।
এলাকাবাস আরো জানান।
ব্রিজ না থাকায় মৌলভী গ্রামের মানুষ বছরের পর বছর ভোগান্তিতে ছিলেন। এখন তানভীর উদ্দীন রাজিব ভাইয়ের ব্যক্তিগত অনুদান থেকে এই কাঠের ব্রিজের কাজগুলো সমাধান করা হয়।
জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সমাধান মেলেনি। পরে বিএনপি নেতা তানভীর উদ্দিন রাজীব বিষয়টি জানার পর নিজস্ব অর্থায়নে এক গ্রামে নতুন কাঠের সেতু নির্মাণ ও অন্য গ্রামে পুরনো সেতু সংস্কার করেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এই দুটি গ্রাম ছিল অনেক অবহেলিত। বাঁশের সাঁকো পার হয়ে মানুষকে চলাচল করতে হতো।
তানভীর উদ্দিন রাজীব এলাকায় এসে জনগণের দুর্ভোগের কথা শুনে দ্রুত উদ্যোগ নেন। তার নির্মিত সেতু স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করেছে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজীব বলেন।
স্থানীয়রা তাদের দুরবস্থার কথা জানানোর পরই কাঠের সেতু নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ শুরু করি। এখন মানুষ সহজে ও নিরাপদে চলাচল করতে পারছে। বিষয়টি আগে জানলে আরও আগেই সেতুটি করে দিতাম।
তিনি আরো বলেন আমিই জনগণের পাশে আছি এবং থাকবো ইনশা আল্লাহ। আমি বিএনপি থেকে নোয়াখালী (৬)হাতিয়া মনোনয়ন প্রত্যাশী।এমপি হলে সব সময় জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাব। সাধারণ মানুষের একই প্রত্যাশা।