মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে মাঠে— গণ অধিকার পরিষদের শীর্ষ ১০ নেতার এলাকায় দেখা যাচ্ছে অভূতপূর্ব গণজোয়ার। সংগঠনের প্রতিটি অঞ্চলে তরুণদের ঢল, গণসংযোগে মাতিয়ে রেখেছেন দলের জনপ্রিয় নেতারা।
নূরুল হক নূর (পটুয়াখালী-৩), রাশেদ খান (ঝিনাইদহ-২) ও ফারুক হাসান (ঠাকুরগাঁও-২) — এই তিন নেতার নির্বাচনি এলাকায় জনতার উৎসাহ যেন এক নতুন রাজনৈতিক বার্তা দিচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, “নূর, রাশেদ আর ফারুক মানেই সাহস, সততা আর পরিবর্তনের প্রতীক।”
অন্যদিকে আবু হানিফ (কিশোরগঞ্জ-১) এখন কিশোরগঞ্জের মানুষের “আশার আলো” হিসেবে পরিচিত। তাঁর নেতৃত্ব স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্যম তৈরি করেছে।
হাসান আল মামুন (নেত্রকোনা-২), যিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হিসেবে দেশজুড়ে পরিচিত, তিনিও এখন মাঠে পুরোদমে। তাঁর ত্যাগ ও নেতৃত্ব তরুণ ভোটারদের মধ্যে গভীর সাড়া ফেলেছে।
তোফাজ্জল হোসেন (টাঙ্গাইল-৭)-এর সাংগঠনিক দক্ষতায় দল আরও শক্তিশালী অবস্থান নিচ্ছে— তাঁর তৃণমূলভিত্তিক কাজ সংগঠনকে দিয়েছে এক নতুন গতি।
ছাত্র রাজনীতির তুমুল জনপ্রিয় দুই মুখ বিন ইয়ামিন মোল্লা (কুড়িগ্রাম-১) ও সাজ্জাদ আল ইসলাম (ঢাকা-৩) নিজেদের এলাকায় বিপুল সাড়া ফেলেছেন।
বিন ইয়ামিন মোল্লা কুড়িগ্রামে তরুণ সমাজের কাছে বিশ্বাসের নাম, আর সাজ্জাদ— যিনি ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত লড়েছেন বুক চিতিয়ে। র্যাবের হাতে নিপীড়ন, হামলা-মামলা, জেল-জুলুম— কিছুই তাঁকে দমাতে পারেনি। বরং তাঁর ত্যাগই তাঁকে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে দিয়েছে এক অবিচ্ছেদ্য জায়গায়।
ডা. এমদাদুল হাসান (চট্টগ্রাম-১২) ও আহসান হাবিব (ঢাকা-১৮) তাদের এলাকাতেও জোরদার গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন, যা পরিষদের জাতীয় অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাষায়-এই তরুণ নেতারাই বাংলাদেশে বিকল্প রাজনীতির নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছেন। তাদের সততা, ত্যাগ ও মাঠের জনপ্রিয়তা আগামী নির্বাচনের
সমীকরণই বদলে দিতে পারে।
গণ অধিকার পরিষদ পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞায়, জনতার পাশে, মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে।