১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈফ মামুন, টিপু ও সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি ছিলেন

নিজস্ব প্রতিনিধি:

পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গুলিতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈফ মামুন (৫০), যিনি চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেরুল বাড্ডা ও শাহজাদপুর এলাকায় আগুনের ঘটনার পরপরই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ নিহতের কাছ থেকে পরিচয়পত্র উদ্ধার করে নিশ্চিত করে যে, তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা তারিক সাঈফ মামুন।

নিহতের পরিবার জানায়, মামুন দুই বছর ধরে রাজধানীর বাড্ডার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং সোমবার সকালে আদালতে হাজিরা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার বলেন, তার স্বামীর হত্যার পেছনে শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনের লোকজন জড়িত থাকতে পারে, কারণ এর আগেও তারা একাধিকবার হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে। পুলিশের তথ্য অনুসারে, ইমন ও মামুন একসময় রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকায় সক্রিয় থাকা ‘ইমন-মামুন গ্রুপ’-এর নেতৃত্ব দিতেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে পথচারী ভুবন চন্দ্র শীল মাথায় গুলি পেয়ে নিহত হন।

সেই ঘটনার পর কারাগারে থাকা ইমন গ্রুপকে ওই হামলার জন্য দায়ী করে পুলিশ। জামিনে মুক্ত হওয়ার কয়েক মাস পর ফের একই গ্রুপের হামলায় প্রাণ হারান মামুন। ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, নিহত ব্যক্তি ইমন গ্রুপের সদস্য এবং টিপু ও সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি।

এর আগে ২০২৩ সালে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরই তার ওপর হামলার চেষ্টা হয়েছিল। বর্তমানে হত্যার ঘটনাটি তদন্তাধীন, এবং দ্রুত অপরাধীদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে। কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইয়াসিন জানান, গুলির শব্দ শুনে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, এক ব্যক্তি রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন। খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তার হয়নি।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top