নিজস্ব প্রতিনিধি:
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো শেডে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত কমিটি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক আর্ক ও শর্ট সার্কিট থেকে, কোনোরূপ নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি; রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান তদন্তে দেখা গেছে কুরিয়ার শেডে ৪৮টি ছোট লোহার খাঁচার অফিস স্থাপন থাকলেও ফায়ার অ্যালার্ম, স্মোক ডিটেক্টর, স্প্রিঙ্কলার বা হাইড্রান্ট—কোনো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না; শেডে কাগজ মোড়ানো কাপড়ের রোল, রাসায়নিক, কম্প্রেসড পারফিউম, বডি স্প্রে, ইলেকট্রনিক্স, ব্যাটারি, কাঁচামালসহ বিপজ্জনক দাহ্য পণ্য অগোছালোভাবে রাখা ছিল যা বিধি বহির্ভূত।
তদন্তে ৯৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় এবং তুরস্ক, বুয়েট, সিআইডি ও অগ্নি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন; কমিটি জানিয়েছে ২০১৩ সাল থেকে ওই স্থানে সাতবার বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে কিন্তু স্বল্প পরিসরে প্রকাশ পেয়েছে এবং সিভিল এভিয়েশনে আগুন প্রতিরোধের পর্যাপ্ত সক্ষমতা নেই।
সুপারিশে বলা হয়েছে বিমানবন্দর রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্য স্বতন্ত্র বিমানবন্দর পরিচালনা কর্তৃপক্ষ গঠন, সিএএবি-কে কেবল নিয়ন্ত্রক রাখা, বিপজ্জনক পণ্যের গুদাম আন্তর্জাতিক মানে স্থানান্তর, নিলাম পণ্যের জন্য পৃথক কাস্টমস গুদাম স্থাপন এবং এপ্রোন এলাকায় কোনো পণ্য সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করা।
কার্গো শেডে আগুন লাগে গত ১৮ অক্টোবর, সকল তথ্য ও সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।