নিজস্ব প্রতিনিধি:
খুলনা-১ (দাকোপ–বটিয়াঘাটা) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রথম হিন্দু প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণ নন্দীকে মনোনয়ন দেওয়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশে তার নাম ঘোষণা করেন। এর আগে এ আসনের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন মাওলানা আবু ইউসুফ। পেশায় ব্যবসায়ী কৃষ্ণ নন্দী দাবি করেন, তিনি ২০০৩ সাল থেকেই জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত, তবে স্থানীয়দের অভিযোগ—আগস্টে রাজনৈতিক সহিংসতায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি হঠাৎ সক্রিয় হন এবং উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পান।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের এক নেতার সঙ্গে তার পুরোনো ছবি ভাইরাল হয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে; সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের তদন্তে উঠে এসেছে তিনি ২০১৩ থেকে ২২ বার ভারত গিয়েছেন এবং কয়েকটি ছবিতে ভারতীয় একটি বিশেষ সংস্থার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপস্থিতির দাবি—যা কৃষ্ণ নন্দী এআই–জেনারেটেড বলে অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে অতীত ঘনিষ্ঠতা এবং জামায়াতে তার মনোনয়ন পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হিন্দু–অধ্যুষিত এ আসনে পূর্বে সংখ্যালঘু প্রার্থীরাই সফল হয়েছেন।
তাই এবার কৃষ্ণ নন্দীর ভোটযুদ্ধের সক্ষমতা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। জামায়াতের আগের প্রার্থী মাওলানা ইউসুফ দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে প্রচারণায় কাজ করলেও বিএনপির আমীর এজাজ খানও এখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন, ফলে কৃষ্ণ নন্দী কতটা টিকতে পারবেন তা এখন ভোটারদের কৌতূহলের কেন্দ্রে।