নিজস্ব প্রতিনিধি:
যুবদল নেতা আরিফ সিকদার হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে খাদিজা ইয়াসমিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারহা ফারজানা হকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম খাদিজা ইয়াসমিনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে পুলিশ উল্লেখ করে, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফাতেহ আলী এবং তার মেয়ে খাদিজা ইয়াসমিন রাজধানীর মগবাজার ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তারা যুবদল নেতা আরিফ সিকদারকে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
পুলিশের আবেদনে আরও বলা হয়, তাদের প্রত্যক্ষ প্ররোচনা ও পূর্বপরিকল্পনার ফলেই আরিফ সিকদারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। খাদিজা ইয়াসমিনের সম্পৃক্ততা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়া জরুরি বলে দাবি করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মামলার মূল নথি দায়রা আদালতে থাকায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামান খাদিজা ইয়াসমিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং রিমান্ড শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, নিহত আরিফ সিকদার ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। গত ১৯ এপ্রিল রাতে হাতিরঝিল থানাধীন নয়াটোলা মোড়ল গলির ‘দি ঝিল ক্যাফে’র সামনে তাকে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২১ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বোন রিমা আক্তার বাদী হয়ে সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে আরিফ সিকদারের মৃত্যু হলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এ মামলায় এর আগেও সুব্রত বাইনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।