২রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ইশরাক হোসেন, ঘোষণা আদালতের

মাহমুদুর রহমান নাঈম, ঢাকা প্রতিনিধিঃ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করেছেন আদালত। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন ইশরাক হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

আদেশে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র হিসেবে সরকারের গেজেট বাতিল করা হয়।

ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইশরাক হোসেন।

অনিয়ম, দুর্নীতি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচন ও ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেছিলেন মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। মামলায় তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ মোট আটজনকে বিবাদী করা হয়।

ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, ‘অনিয়ম, দুর্নীতি ও অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগে আমরা নির্বাচন বাতিল চেয়ে মামলা করেছিলাম। তাকে মেয়র হিসেব ঘোষণার আবেদন করেছিলাম। আদালত আজ আমাদের পক্ষে রায় দিলেন। ইসরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম উত্তরে ও ফজলে নূর তাপস দক্ষিণের মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের গেজেট প্রকাশ করেন। তারা শপথ গ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাদের মেয়র পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

গত বছর ১৬ অক্টোবর রাতে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে সাবেক মেয়র আতিককে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। এদিক সাবেক মেয়র তাপসের কোনো হদিস নেই। বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে, তিনি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগেই দেশ ছেড়েছেন।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তিকে আবেদন করতে হয়।
মামলার পর পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবেন ট্রাইব্যুনাল। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি রায়ে খুশি না হলে ৩০ দিনের মধ্যে তিনি নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন। নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল ১২০ দিনের মধ্যে আপিলটি নিষ্পত্তি করবেন।

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

এই বিভাগের আরও খবর

চিন্ময়ের জামিন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ

  নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ হাইকোর্ট থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছেন না। তিনি বলেন,

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়া ‘আকাশ বিজয়-২০২৫’ সফলভাবে সম্পন্ন

মোঃ সাজেল রানা, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়া ‘আকাশ বিজয়-২০২৫’ আজ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার, কুর্মিটোলা, ঢাকা সেনানিবাসে চূড়ান্ত

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা

মোঃ সাজেল রানা, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ঢাকা, ৩০ এপ্রিল ২০২৫: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা দ্রুত নিষ্পত্তি

শেখ হাসিনার ‘হত্যার লাইসেন্স’ অডিওর ফরেনসিক প্রমাণ মিলেছে: ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাইরাল হওয়া “২২৬টি মামলা হয়েছে, মানে ২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি” এমন বক্তব্যের অডিওর ফরেনসিক প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে

Scroll to Top