নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দলটি। এনসিপি দাবি করেছে, এই হামলা ‘পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররা’ চালিয়েছে।
সংগঠনটির অভিযোগ, ঘটনার আগের দিন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসনাত আব্দুল্লাহকে ‘দেখে নেওয়া’র হুমকি দিয়েছিল। এনসিপি’র ভাষ্য, “নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিবাদী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এ হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।”
দলের দপ্তর বিভাগের যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘বাংলাফ্যাক্ট’ নামের একটি ফ্যাক্টচেকিং সংস্থার তথ্যানুযায়ী, গত ৯ মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ওপর ৩৬টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮৯ জন আহত এবং ১ জন নিহত হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও অভিযোগ করা হয়, “এসব ঘটনার পরও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর আইনগত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, এবং অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্বে অবহেলা ও অপেশাদারিত্ব দেখা যাচ্ছে।”
হামলার পেছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে এনসিপি বলেছে, “জুলাই মাসের গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার কার্যকরভাবে না হওয়াই আজকের মতো হামলার পথ উন্মুক্ত করেছে।”
হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এনসিপি। ঢাকা মহানগরের পাশাপাশি গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, বরিশাল, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর ও রংপুরেও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।
এনসিপি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত, দায়ীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে। একইসঙ্গে জুলাই মাসের গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।