নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারতের মঙ্গলবার রাতের ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান ও ড্রোন হামলাকে ‘অকারণ যুদ্ধ ঘোষণা’ এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ‘নগ্ন লঙ্ঘন’ বলে আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে ভারতের আগ্রাসনের জবাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)।
বুধবার (৭ মে) ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত পরিকল্পিতভাবে পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ জম্মু-কাশ্মীরের বেসামরিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এমনকি মসজিদ, বাড়িঘরসহ সাধারণ মানুষের ওপরও আঘাত হানা হয়েছে, যাতে বহু নারী, পুরুষ ও শিশু নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের এনএসসি বলেছে, এসব হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। চলমান আঞ্চলিক উত্তেজনার জন্য পুরোপুরি ভারত দায়ী।
কমিটি জানায়, জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে আত্মরক্ষার অধিকার ব্যবহার করে পাকিস্তান প্রয়োজনীয় সামরিক পদক্ষেপ নেবে। সেই অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে এনএসসি। এই সফল প্রতিরোধের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রশংসাও জানিয়েছে কমিটি।
কমিটি আরও বলেছে, পাকিস্তান সবসময় শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী, তবে সেটা মর্যাদার সঙ্গে হতে হবে। দেশটির জনগণ ও ভূখণ্ডে আঘাত আসলে তা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
অন্যদিকে পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতের অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, দুই দেশের সীমান্তে এখনো উত্তেজনা চলছে।