আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই কাশ্মীরের শ্রীনগরে বিস্ফোরণ ও ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্ট ও ভিডিওর বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছে।
শনিবার রাতে এক্সে দেওয়া বার্তায় ওমর আবদুল্লাহ বলেন, “এটা আবার কী হলো? শ্রীনগরের চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির কী হলো?”
তার পোস্টের কিছুক্ষণ পরই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় নাগরিকরা ড্রোন শনাক্তকারী ট্রেসার ফায়ারের ভিডিও পোস্ট করতে শুরু করেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেন, “এটা কোনো যুদ্ধবিরতি না। শ্রীনগর শহরের এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলো এখন গুলি ছুঁড়েছে।”
তার এই পোস্ট ও ভিডিও ঘিরে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই ধারণা করছেন, এটি শ্রীনগরে ড্রোন অনুপ্রবেশের সম্ভাব্য ঘটনা এবং তার জবাবে ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স বাহিনীর তৎপরতা।
এ ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মার্কিন মধ্যস্থতায় ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এই হামলার বিষয়ে ভারত, পাকিস্তান, কিংবা মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এটি হতে পারে:
-
স্থানীয় সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশের চেষ্টা, যা সরকারিভাবে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন নাও হতে পারে।
-
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার বিরুদ্ধে স্থানীয় শক্তিশালী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিক্রিয়া, বিশেষ করে কাশ্মীর অঞ্চলে সক্রিয় বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ও দায়িত্বশীল প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন, যাতে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অটুট থাকে। তবে শ্রীনগরে সংঘটিত এই হামলা দুই দেশের শান্তি প্রচেষ্টাকে নতুন এক পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছে।