নিজস্ব প্রতিবেদক:
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার সাম্যের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার বড় ভাই আনোয়ারুজ্জামান সাগর।
বুধবার ১৪ মে বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ছোট ভাইয়ের জানাজার আগে কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি বলেন, আর কোনো মেধাবী সন্তান যেন এমন নৃশংসতার শিকার না হয়।
আনোয়ারুজ্জামান সাগর বলেন, সাম্য আমার চেয়ে ১৬ বছরের ছোট। সে অষ্টম শ্রেণিতে থাকতে মাকে হারিয়েছি। সেই থেকে তাকে আগলে রেখেছি। কখনও কোনও কষ্ট বুঝতে দিইনি। অনেক স্বপ্ন নিয়ে তাকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে পাঠিয়েছি। কিন্তু এভাবে ভাইকে হারাতে হবে ভাবিনি।
তিনি আরও বলেন, কী কারণে তাকে হত্যা করা হলো, তার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে আমি উপাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ শিক্ষার্থী, সহপাঠী ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা। জানাজার সময় সবাই অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।
জানাজা শেষে সাম্যের মরদেহ গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই আনোয়ারুজ্জামান খান।
এর আগে, মঙ্গলবার ১৩ মে দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করলে সাম্য মারাত্মকভাবে আহত হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহরিয়ার সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং স্যার এ এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তিনি হল ছাত্রদলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।